ইশান-ঝড়ে কাবু স্টেনদের ভাইয়েরা

নিউজিল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁদের বলেছিলেন, ‘‘আগামী ছ’সপ্তাহ তোমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে চলেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৫
Share:

সফল: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার উইকেট ইশানের। ফাইল চিত্র

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিরাট কোহালিদের টেস্ট হারের বদলা পরের দিনই নিয়ে নিলেন তাঁদের ভাইয়েরা। যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই অনায়াসে হারিয়ে। আর এই জয় এনে দিলেন বাংলার পেসার ইশান পোড়েল। নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের ঠান্ডা আবহাওয়া ও গতিময় উইকেট পেয়ে তাতে ঝড় তুলে দিলেন এই বঙ্গসন্তান। একাই চার উইকেট নিয়ে বিপক্ষের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন তিনি। আর তাঁর এই আগুনে বোলিংয়েই ভারত জিতল ১৮৯ রানে।

Advertisement

ভারত প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ৩৩২ রান তোলার পরে ঈশান আট ওভার বল করে ২৬ রানে চার উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার যুব দলের দুই থেকে চার নম্বর ব্যাটসম্যান তাঁরই শিকার। শুরুতেই তাঁর এই গোলাবর্ষণে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকতে শুরু করে। ঈশানের এই শুরুর ধাক্কাতেই উদ্দীপ্ত হয়ে দলের বাকি বোলাররাও চাপ বাড়াতে থাকেন বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ওপর। এই চাপ সামলাতে না পেরে ১৪৩ রানেই শেষ হয়ে যায় আফ্রিকানরা।

নিউজিল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁদের বলেছিলেন, ‘‘আগামী ছ’সপ্তাহ তোমাদের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে চলেছে।’’ সেই মন্ত্র যে মাথায় গেঁথে নিয়েছেন, বুধবার সুযোগ পেয়েই তা বুঝিয়ে দিলেন চন্দননগরের ঈশান পোড়েল।

Advertisement

দ্বিতীয় ওভারেই তাঁকে বল দেন পৃথ্বী। সেই ওভারেই ম্যাথিউ ব্রিজকে-র উইকেট তুলে নেন বঙ্গ পেসার। চতুর্থ ওভারে ঈশানের দ্বিতীয় শিকার তিন নম্বর ব্যটসম্যান অ্যান্দিল মোগাকানে। এই বঙ্গপেসারের দাপটে আট রানে দু’উইকেট হারায় আফ্রিকানরা। অষ্টম ওভারে ফের বিপক্ষকে ধাক্কা দেন ঈশান। এ বার হার্মান রফেলস। প্রথম স্পেলেই ৫-২-১১-৩। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে এক টেল এন্ডারকে তুলে নেন।

বোলারদের মতো দ্রাবিড়ের দলের ব্যাটসম্যানরাও এ দিন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ওপেনিং পার্টনার মনজ্যোত কালরা। বাঁ-হাতি পেসার অখনা মিয়াঙ্কার একই ওভারে পৃথ্বী (১৬) ও শুভমান গিল (০) ফিরে যান। এক ওভার পরেই ফের মিয়াঙ্কার শিকার হন মনজ্যোত (৩১)। এখান থেকেই ম্যাচের হাল ধরেন আরিয়ন জুয়াল (৮৬) ও হিমাংশু রানা (৬৮)। এঁদের ১৩৮ রানের পার্টনারশিপের উপর নির্ভর করেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। এ ছাড়াও অভিষেক শর্মা (১৯ বলে ৩৫), অনুকুল রায় (২১ বলে ২৮) ও কমলেশ নগরকোটির (১৭ বলে অপরাজিত ২৬) ঝোড়ো ইনিংসই ৩৩২ রানে পৌঁছে দেয় ভারতকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement