পাঠানের রামধনুর মতো বাঁক খাওয়ানো সুইং খেলতে বেগ পেতে হত ব্যাটসম্যানদের। —ফাইল চিত্র।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নন, ইরফান পাঠান জীবন দিয়ে দিতে পারেন অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের জন্য। পছন্দের অধিনায়ক বাছতে বসে বাঁ হাতি অলরাউন্ডার ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দ্য ওয়াল’-এর প্রশংসা করলেন।
নিজের হাতে এক নতুন ভারতীয় দলের জন্ম দিয়েছিলেন সৌরভ। তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ দিয়েছিলেন মহারাজ। সাফল্যের দিক থেকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য এক উচ্চতায়। তুলনায় রাহুল দ্রাবিড় অনুচ্চারিত থাকেন ভারতীয় ক্রিকেটে।
পাঠান আলো ফেললেন দ্রাবিড়ের উপরে। বললেন, ‘‘পছন্দের অধিনায়ক বেছে নেওয়া খুবই কঠিন। তবে আমি আলাদা করে রাহুল দ্রাবিড়ের কথা বলব। দাদা আমার প্রথম অধিনায়ক। দাদা আমার পাশে থেকে গিয়েছে। অনিল কুম্বলে বেশি সময় ধরে নেতৃত্ব দেননি। আরও বেশি দিন হয়তো দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি। সাফল্যের দিক থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্ব সব চেয়ে উপভোগ করেছি। কারণটা হল, আমার ভূমিকা কী, তা পরিষ্কার করে দিত দ্রাবিড়। দ্রাবিড়ের নেতৃত্ব নিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয় না। কিন্তু একটা সময় গিয়েছে যখন রান তাড়া করে আমরা ১৪-১৬টা ম্যাচ জিতেছিলাম। সেটা বিশ্বরেকর্ড ছিল। দ্রাবিড় তখন অধিনায়ক।’’
আরও পড়ুন: ‘প্রথাগত ধ্যানধারণার বাইরে’, সৌরভকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লক্ষ্মণের
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত হতশ্রী পারফরম্যান্স করে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়। সেই সময়ে দ্রাবিড় ভারতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটাররা মুষড়ে পড়েছিলেন হতাশায়। সেই সময়ের অজানা এক কাহিনি শোনান পাঠান। তিনি বলেন, ‘‘টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে আমরা খুব হতাশ ছিলাম। কোথাও যাওয়ার মতো মানসিকতা ছিল না। দ্রাবিড় নিজেও খুবই হতাশ ছিল। এক দিন দ্রাবিড় আমাকে আর ধোনিকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। আমাদের সিনেমা দেখার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু দ্রাবিড় জানত, আমরা ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ। সেই কারণেই আমাদের নিয়ে দ্রাবিড় বেড়িয়ে পড়েছিল।’’
দ্রাবিড় চিরকালই শান্ত স্বভাবের। মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার সময়ে খুব একটা ছটফট করতেও দেখা যায়নি তাঁকে। সেই দ্রাবিড়ের এই গল্প তো এত দিন অজানাই ছিল। পাঠান এক অন্য দ্রাবিড়কে সামনে আনলেন।