সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন ইরফান পাঠান। ছবি: পাঠানের ফেসবুক পেজ থেকে।
কাশ্মীর থেকে সোমবার ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে।
কিছু যে একটা ঘটতে চলেছে, তার ইঙ্গিতটা মিলছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। গত কয়েক দিন ধরেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপত্যকা ছাড়তে বলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় অমরনাথ যাত্রা। উপত্যকা ছাড়ার নির্দশে দেওয়া হয় ভারতের প্রাক্তন অলরাউন্ডার তথা জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট দলের মেন্টর ও ক্রিকেটার ইরফান পাঠানকেও।
শ্রীনগর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ পাওয়ার পরেই টুইট করেন পাঠান। তিনি লেখেন, ‘আমার হৃদয় পড়ে রয়েছে কাশ্মীরে। ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কাশ্মীরি ভাই-বোনদের সঙ্গেই রয়েছে আমার হৃদয় ও মন।’ সেই টুইটে হ্যাশ ট্যাগ হিসেবে পাঠান লেখেন, #কাশ্মীর, #কাশ্মীরআন্ডারথ্রেট।
এই টুইটের পরেই বেশ কিছু ইউজারের রোষের মুখে পড়েন ইরফান। এক ইউজার পাঠানকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘বড় বড় কথা বলে শেষে #কাশ্মীরআন্ডারথ্রেট লিখে নিজের জেহাদি মানসিকতাই বুঝিয়ে দিলেন ইরফান। কাশ্মীর ইজ নট আন্ডার থ্রেট। ইট ওয়াজ আন্ডার থ্রেট। এ বারের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৫ এবং ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা রদ, ‘ঐতিহাসিক ভুল শোধরানো হল’, মত সরকারের, কালো দিন, বলল বিরোধীরা
আরও পড়ুন: আলোচনার কেন্দ্রে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা? কী ছিল এই দুই ধারায়, জানেন তো?
পাঠানকে কটাক্ষ করে লেখা সেই টুইটের পরে অবশ্য ওই ইউজারকেও অনেকে আক্রমণ করেন। ওই ইউজারের করা মন্তব্যের ভাষায় প্রতিবাদ করেন ইরফান। কড়া ভাষায় তিনি লেখেন, ‘অমরনাথ যাত্রীদের চলে যেতে বলা হয়েছে এবং যাত্রা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এর অর্থই হল, কাশ্মীরে আতঙ্কের পরিবেশ। সেই কারণেই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিজের নোংরা চিন্তাভাবনা বদলান। প্রতিটি কথায় ধর্মকে টেনে আনবেন না। সব কথায় প্রমাণ চাইবেন না।’