ফাইল চিত্র।
ঋদ্ধিমান সাহা যে আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না, তা পরিষ্কার করে দিলেন বুধবার। ২৭ মে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছে বাংলা শিবির। শোনা গেল, ঋদ্ধির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে আর অনুরোধও করা হবে না। মঙ্গলবার ইডেনে গুজরাত টাইটান্সের হয়ে ফাইনালে খেলতে এসেছিলেন ঋদ্ধি। তাঁর দল জেতায় এ দিন সকালেই আমদাবাদ চলে যান ফাইনাল খেলার জন্য। সেখানে পৌঁছনোর আগে বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার।
বুধবার ঋদ্ধি এই কাজ করার পরে বাংলার শিবিরও নিশ্চিত, তাঁকে আর এই মরসুমে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই অভিষেক পোড়েলকে নিয়েই নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছে বঙ্গ শিবিরে। সূত্রের খবর, আইপিএল খেলে ফিরে আসার পরে ‘এনওসি’ চাইতে যাবেন তিনি। বাংলা ছাড়ার ছাড়পত্র তাঁকে দেওয়া হয় কি না, সেটাই দেখার।
সম্প্রতি সিএবির এক কর্তার মন্তব্যে অপমানিত বোধ করেন ঋদ্ধি। ওই কর্তা বলেছিলেন, বাংলার হয়ে খেলার কথা শুনলেই চোটের অজুহাত দেন ঋদ্ধি। বাংলাকে একাধিক ম্যাচ জেতানোর পরেও কেন এ ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হল, তা জানতে চান তিনি। ভারতীয় দলের হয়ে যে মানসিকতা নিয়ে ঋদ্ধি নামেন, একই রকম তাগিদ থাকে ক্লাব ক্রিকেটেও। তবুও কেন এমন মন্তব্য? ঋদ্ধির সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দিল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাননি তিনি।
অপমানিত হয়ে বাংলা ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন গত সপ্তাহে। বুধবার কফিনে শেষ পেরেকও পুঁতে দিলেন। ঋদ্ধিকে আসন্ন ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট দলেও নেওয়া হয়নি। কাউন্টিতে খেলে দলে ফিরেছেন চেতেশ্বর পুজারা। কিন্তু আইপিএলে ১০ ম্যাচে ৩১২ রান করেও কেন টেস্ট দলে নেই তিনি, রয়েছে প্রশ্ন। ঋদ্ধি যদিও জানিয়েছেন দল নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামান না। তবে আসন্ন টেস্ট সিরিজ়ে না থাকায় ভারতীয় দলের দরজাও কি বন্ধ হয়ে গেল? সময় মতোই পাওয়া যাবে সেই উত্তর।