KKR

শুধু কলকাতাই নয়, আইপিএলে ঘরের মাঠে দাপট কমেছে সবারই, কী কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে?

রবিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হেরে গেল কলকাতা। চলতি মরসুমে ঘরের মাঠে তাদের দ্বিতীয় হার। এর আগে হেরেছিল হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। বেশির ভাগ দলই এ বার ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারছে না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৪৯
Share:

ঘরের মাঠে টানা দু’টি ম্যাচে হেরেছে কলকাতা। ছবি: আইপিএল

রবিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হেরে গেল কলকাতা। চলতি মরসুমে ঘরের মাঠে তাদের দ্বিতীয় হার। এর আগে হেরেছিল হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। শুধু কলকাতাই নয়, বেশির ভাগ দলই এ বার ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারছে না। আইপিএলের পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টি ম্যাচে ঘরের মাঠের দল জিতেছে। ১৭টি ক্ষেত্রে হারতে হয়েছে। অন্যান্য বার এই পরিসংখ্যান ঘরের মাঠে জেতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি থাকত। অবশ্যই সেটা কোভিডের আগের সময়ের কথা।

Advertisement

আইপিএলের দলগুলির মধ্যে ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের রেকর্ড সবচেয়ে ভাল। তারা ৭২.৭ শতাংশ ম্যাচেই জিতেছে। এ বার তারাও ঘরের মাঠে হেরেছে রাজস্থানের কাছে। হায়দরাবাদ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ঘরের মাঠ উপ্পলে তারা ৬৫.৯ শতাংশ ম্যাচে জিতেছে। এ বার তারা রাজস্থান এবং মুম্বইয়ের কাছে হেরেছে।

ঘরের মাঠের সুবিধা যে কোনও দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নিলামে ঘরের মাঠের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে অনেকে দল গড়ে এবং প্রতিযোগিতার শেষে সেটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। এমনকি ট্রফি জেতার ক্ষেত্রেও ঘরের মাঠের রেকর্ড তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম আইপিএল জিতেছিল রাজস্থান। তারা সে বার জয়পুরে সাতটি ম্যাচের সাতটিই জিতেছিল। ২০১১-য় চেন্নাই আইপিএল জেতার সময় আটটি ম্যাচের আটটিই জিতেছিল। একই জিনিস মুম্বইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তারা ২০১৩-য় প্রথম আইপিএল ট্রফি জেতার সময় ঘরের মাঠে সবক’টি ম্যাচে জিতেছিল। ২০১৪-য় কলকাতা ইডেন গার্ডেন্সে চারটি ম্যাচের চারটিই জিতেছিল (বাকি ম্যাচগুলি হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে)।

Advertisement

অন্যান্য মরসুমেও ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি দাপট দেখানো দলগুলিই জিতেছে। ২০১৭-য় ঘরের মাঠে মুম্বইয়ের সাতটির মধ্যে পাঁচটি জেতা, ২০১০ চেন্নাইয়ের সাতটির মধ্যে চারটি জেতা রয়েছে।

ঘরের মাঠে আধিপত্য হারানোর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। প্রথমত, এখন নিলাম টেবিলে আইপিএলের দলগুলি অনেক বেশি বিশ্লেষণ করে। শুধু ঘরের মাঠে নয়, বাইরের মাঠেও জেতাতে পারেন এমন ক্রিকেটারদের নেওয়া হয়।

দ্বিতীয়ত, আগের তিনটি মরসুম কোভিডের কারণে অন্যত্র হওয়ায় এবং ২০২২-এ কোভিডের মাঝেই মেগা নিলাম হয়ে যাওয়ায়, ঘরের মাঠে সাফল্য এনে দেওয়ার মতো দল তৈরি করাই যাচ্ছে না। কোন প্রথম একাদশ খেলালে তা ঘরের মাঠে সাফল্য এনে দেবে, সেটাই অনেকে ঠিক করে উঠতে পারেনি।

তৃতীয়ত, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম আসায় অনেক দলেই তাঁরা বড় ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই দলগুলি একটু বেশি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement