এই ছবি দিয়েই পোস্ট করা হয়েছিল লখনউয়ের তরফে। সেই পোস্ট এখন মুছে দেওয়া হয়েছে। ছবি: টুইটার
আগামী শনিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে নামার কথা ছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে লখনউয়ের তরফে ঘোষণাও করা হয়েছিল। পরে লখনউ এবং মোহনবাগানের সমাজমাধ্যমের পেজগুলিতেও সেই নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করা হয়েছিল। সন্ধের দিকে আচমকাই সব পোস্ট মুছে দেওয়া হল। জানা গিয়েছে, বোর্ডের কাছে কেকেআরের অভিযোগের কারণেই এই কাজ করা হয়েছে।
লখনউয়ের মালিক কলকাতা নিবাসী এবং মোহনবাগান ফুটবল দলের কর্ণধার। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে মোহনবাগানের সাফল্য তিনি ক্রিকেট মাঠেও তুলে আনতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি মোহনবাগানের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মোহন-সমর্থকদের কাছে মাঠ ভরিয়ে লখনউকে সমর্থনের আবেদনও করা হয়েছিল।
এর বিরুদ্ধেই বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানায় কেকেআর। সূত্রের খবর, কেকেআর জানিয়েছে, তাদের ঘরের মাঠের সমর্থন ভাঙিয়ে বিপক্ষ দল তার ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি একই মালিকের অন্য একটি ক্লাবের প্রচার করা হচ্ছে কলকাতার সমর্থন ভাঙানোর জন্য। বোর্ডের মতে, এটি স্বার্থের সংঘাত। তারা লখনউকে এ ব্যাপারে ই-মেল করে বলেই সূত্রের খবর। তার পরেই সমস্ত পোস্ট মুছে দেওয়া হয়।
আইপিএলে সাধারণত কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়িকে সংশ্লিষ্ট শহরের সংস্কৃতি বা সামাজিক সচেতনতামূলক কাজের জন্যই শুধু বিশেষ রংয়ের জার্সি পরে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। যেমন পরিবেশ সচেতনতার জন্যে অনেক বছর ধরেই সবুজরঙা জার্সি পরেছে আরসিবি। কিছু দিন আগে ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে ল্যাভেন্ডার রংয়ের জার্সি পরে নামতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু একটি অন্য একটি দলকে সম্মান জানাতে আইপিএলে কোনও দলকে বিশেষ রঙের জার্সি পরে নামতে আগে কখনও দেখা যায়নি। ফলে এ ক্ষেত্রে কী ভেবে আগে অনুমতি দিয়েছিল বোর্ড, তা জানা যায়নি।
তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, সবুজ-মেরুন জার্সি পরে লখনউয়ের মাঠে নামতে অসুবিধা নেই। নিষেধাজ্ঞা কেবল প্রচারের ক্ষেত্রেই থাকছে। তবে কেকেআর বা লখনউ, কোনও তরফেই কেউ এখনও পর্যন্ত মুখ খুলতে রাজি হননি।