মোহালিতে কলকাতা-পঞ্জাব ম্যাচ চলাকালীন বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। তাই খেলার আগে মাঠ ঢাকা ছিল। —ফাইল চিত্র
কলকাতা-পঞ্জাব ম্যাচের আগে থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। কেকেআরের ইনিংস চলাকালীন ১৬ ওভারের মাথায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যদি বৃষ্টির কারণে খেলা ভেস্তে যায় তা হলে কে জিতবে? ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম অনুযায়ী পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা। এখনই খেলা বন্ধ হয়ে গেলে পঞ্জাব জিতবে ৭ রানে।
১৪ ওভারে কেকেআরের রান ছিল ১১৮। ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। সেই সময় থেকেই হাল্কা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। সেই সময় জিততে গেলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১২৮ রান করতে হত কলকাতাকে। সেই হিসাবে ১০ রান পিছিয়ে ছিল তারা। তার পরের দু’ওভারে ২৮ রান করলেও ২ উইকেট হারায় কেকেআর। ১৬ ওভারের পরে বৃষ্টির বেগ বাড়ে। তাই আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নেন খেলা বন্ধ করার। ক্রিকেটাররা মাঠ ছাড়েন। ১৬ ওভারের পরে কলকাতাকে জিততে হলে ১৫৩ রান করতে হত। কিন্তু ১৪৬ রান করেছে তারা। সেই হিসাবে ৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে নাইট রাইডার্স।
কলকাতার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান করে পঞ্জাব। অর্ধশতরান করেন ভানুকা রাজাপক্ষ। সেই রান তাড়া করতে নামার পরে বিঘ্ন ঘটে খেলায়। তখন মাঠে নেমে পড়েছেন দু’দলের ক্রিকেটাররা। কলকাতার দুই ওপেনার মনদীপ সিংহ ও রহমানুল্লা গুরবাজ় উইকেটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। পঞ্জাবের ফিল্ডিং সাজানো হয়ে গিয়েছে। বল করার জন্য তৈরি স্যাম কারেন। কিন্তু আম্পায়াররা খেলা শুরু করতে পারছিলেন না। প্রথমে কারণ বোঝা না গেলেও পরে দেখা যায়, তাঁরা ফ্লাডলাইটের দিকে তাকিয়ে। কোনও লাইট জ্বলেনি।
আম্পায়াররা বার বার নির্দেশ দিকে থাকেন ফ্লাডলাইট জ্বালানোর। কিন্তু কিছুতেই আলো জ্বলছিল না। কিছু ক্ষণ পরে আম্পায়াররা ক্রিকেটারদের নির্দেশ দেন, মাঠ ছাড়তে। সেই মতো দু’দলের ক্রিকেটাররা ডাগআউটে ফিরে যান। ২১ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। তার মধ্যে ধীরে ধীরে ১৪টি টাওয়ারের আলো জ্বলে ওঠে। সব আলো জ্বলার পরেই ক্রিকেটাররা মাঠে নামেন। আবার শুরু হয় খেলা।