দেবেন্দ্র ফডণবীস। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিধানসভা ভোটে বিজেপি জোটের জয়ের পরে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে ধারাবাহিক ভাবে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা! এ বার গঢ়ছিরৌলি জেলায় এক সঙ্গে ১১ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সামনে! পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মাথার মোট দাম ১ কোটি ৩ লক্ষ টাকা!
আত্মসমর্পণ কর্মসূচিতে ফডণবীস বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে মাওবাদীদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র শীঘ্রই ‘মাওবাদী মুক্ত’ হবে।’’ উত্তর গড়ছিরৌলি ইতিমধ্যেই ‘মাওবাদী মুক্ত’ হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন, নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কা। তিনি সিপিআইএমএল (পিডব্লিউজি)-র গত ৩৮ বছর ধরে সশস্ত্র নকশালপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, গঢ়ছিরৌলি-সহ বিদর্ভের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়েও একাধিক নাশকতায় অংশ নিয়েছেন আত্মসমর্পণকারীরা। এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে তিন বার বিদর্ভ এলাকায় মাওবাদী আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটল। গত ২৭ ডিসেম্বর মালাজখণ্ড দলাম এবং ৯ নম্বর পামেড় প্লাটুনের কমান্ডার দেব ওরফে অর্জুন ওরফে রাকেশ সুমদো মুদাম গোন্ডিয়া জেলা পুলিশের সুপারের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাঁর মাথায় দাম ছিল সাত লক্ষ টাকা। ডিসেম্বরেই গঢ়ছিরৌলি জেলায় দুই মাওবাদী কমান্ডার রামাসু পয়াম ওরফে নরসিংহ এবং রমেশ কুঞ্জম ওরফে গোবিন্দ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। রামাসুর মাথায় দাম ছিল ছ’লক্ষ টাকা। রমেশের দু’লক্ষ।