শ্রেয়স আয়ার। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বৈশাখের শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছে গরম। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার তাপমাত্রা। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দুপুরে ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামবেন শ্রেয়স আয়ার, বিরাট কোহলিরা। খেলা শুরু দুপুর ৩.৩০ মিনিটে।
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে রোদের মধ্যে খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। টানা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা, ব্যাট করা, বল বা ফিল্ডিং করা সহজ কথা নয়। কিন্তু পেশাদার ক্রিকেট গরম-ঠান্ডা কিছুই মানে না। মাঠে নামতেই হবে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারদের। গরমের জন্য অনেক ক্রিকেটারের পেশিতে টান ধরতে দেখা গিয়েছে কয়েকটি ম্যাচে। এই পরিস্থিতিতে মাঠে নামার আগে কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত দু’দলের ক্রিকেটারদের? জানিয়েছেন শহরের চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের সঙ্গে ক্রিকেটারদের গুলিয়ে ফেললে হবে না। খেলোয়াড়েরা সাধারণত গরমে অনুশীলন বা ম্যাচ খেলায় অভ্যস্ত। খেলোয়াড়দের ফিটনেসও অনেক ভাল হয়। তবু কিছু সতর্কতা নিয়ে মাঠে নামতে পারলে ভাল।
শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলছেন, ‘‘শরীরে জলের পরিমাণ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ এই আবহাওয়ায়। ঘন ঘন ওআরএস খেতে হবে খেলার সময়। যাতে পেশিতে টান না ধরে। যতটা সম্ভব শরীর ঢাকা পোশাক ব্যবহার করা উচিত। ভাল টুপি ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। আইপিএলের দলগুলি অত্যন্ত পেশাদার। প্রত্যেক দলের সঙ্গে চিকিৎসক আছেন। ক্রিকেটারেরাও গরমে খেলে এখন অভ্যস্ত। তাই খুব অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।’’
অন্য আর এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অরিজিৎ শীলের বলছেন, ‘‘মাঠে নামার আগে বরফ-ঠান্ডা জলে স্নান করে নেওয়া যেতে পারে। তাতে শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়। প্রচুর পরিমাণে জল বা পানীয় খেতে হবে। পানীয় জল, ফলের রস, গ্লুকোজ, ওআরএস—পছন্দ মতো পান করতে পারেন। ভারী খাবার না খেয়ে মাঠে নামা উচিত। হালকা এবং জলের পরিমাণ বেশি এমন খাবার খেলে ভাল। শরীরের অধিকাংশ অংশ ঢাকা থাকবে এমন পোশাক পরে মাঠে নামা উচিত। যাতে শরীরে সরাসরি রোদ না লাগে। খুব আঁটসাঁট পোশাক ব্যবহার করা ঠিক নয়। আইপিএলে যে জার্সি পরে ক্রিকেটারেরা মাঠে নামেন, সেগুলির মান যথেষ্ট ভাল। তবু ভিতরে পর্যাপ্ত হাওয়া ঢুকতে পারবে, এমন জার্সি ব্যবহার করা উচিত।’’