বোলিং এবং ফিল্ডিং ঠিকঠাক করেও গত ম্যাচে জিততে পারিনি আমরা। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতাই দায়ী। ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। হয়তো দশ বারের মধ্যে ন’বার-ই এ রকম ম্যাচ জিতব।
লিগ টেবলের সমীকরণ অনুযায়ী, এই মুহূর্তে পঞ্জাবের প্লে-অফে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ওরা যে ভাবে কেকেআর আর মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পরপর ম্যাচ জিতল তার জন্য ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।
এটা আইপিএলের সেই সময় যখন ক্রিকেটপ্রেমীরা লিগ টেবলের দিকে নজর রেখে প্রিয় দল প্লে-অফে যেতে পারবে কি না তা নানা অঙ্ক কষে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি স্কুল জীবন থেকে অঙ্কে খুব কাঁচা। তাই জেতাটাই আমার কাছে সেরা রাস্তা। যাতে কোনও অঙ্ক না কষতে হয়। কিন্তু যা পরিস্থিতি, তাতে আমার হিসেব বলছে, শনিবার ইডেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৭০ রানে হারলে তবেই আমাদের প্লে-অফ খেলা হবে না। বুঝতেই পারছেন, খুব বিশ্রী ভাবে হারলেই একমাত্র প্লে-অফের রাস্তা থেকে ছিটকে যেতে পারি।
উদ্যোগ: শুক্রবার বিকেলে প্র্যাকটিসের আগে ইডেনে সবুজায়ন অভিযান সফল করতে
গাছ পুঁতলেন জুহি চাওলা। সঙ্গে কেকেআরের ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
তাই আজ আমাদের লক্ষ্য লিগ পর্ব প্রথম দুইয়ে থেকে শেষ করা। আর সেটা সম্ভব হতে পারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারালেই। আইপিএল-এ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ঠিক সময়ে জ্বলে ওঠাটা খুব জরুরি। ভাল টিম টুর্নামেন্টের এই শেষ সপ্তাহেই নিজেদের ফর্ম, ফিটনেসের তুঙ্গে উঠে যায়। মুম্বই এ বারের টুর্নামেন্ট জেতার দৌড়ে অন্যতম ফেভারিট। আমি এ ব্যাপারেও নিশ্চিত যে, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে ওরা খুব বিচলিত নয়। আর ক্রিকেটে যে কোনও টিমের খারাপ দিন যায়। গত কয়েকটা ম্যাচ থেকে বেশ কিছু ভুলের শিক্ষা আমরা নিয়েছি। আশা করছি, প্লে-অফে তা কাজে লাগবে।
এরই মাঝে রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাবে কেকেআর চ্যারিটি গল্ফ ডে দারুণ কাটালাম। যেখানে প্রথম হলেন আমাদের সিইও বেঙ্কি মাইসোর। এই প্রতিযোগিতাটা প্রতি বছরই হয়ে থাকে। আমাদের ভাল লাগছে এটা ভেবেই যে এর মাধ্যমে কিছু ভাগ্যহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে কেকেআর পরিবার। এই বছরেও যে অর্থ সংগ্রহ হয়েছে, তা ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।