অতীতের মতো এ বারের আইপিএলেও দারুণ জমজমাট ভাবে শুরু হল। টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তাও বেড়ে গিয়েছে অনেক। প্রথম ম্যাচটার কথাই ধরুন না। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচটার সময় স্টেডিয়াম পুরো ভরে গিয়েছিল।
হায়দরাবাদ দলটার আগে নাম ছিল ডেকান চার্জার্স। কিন্তু ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে ওদের সে রকম সাফল্য আসেনি। জনপ্রিয়তাও কমছিল। কিন্তু গত বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর এ বারে ডেভিড ওয়ার্নার, যুবরাজ সিংহ, মোয়েসেস এনরিকে, রশিদ খানদের পারফরম্যান্স সেই ভক্তসংখ্যা বিশাল ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরসিবি-কে বাদ দিলে বাকি টিমগুলো মোটামুটি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে। আরসিবি চোটের জন্য বেশি ধাক্কা খেয়েছে। এবি ডিভিলিয়ার্স দু’টো ম্যাচের পরে ফিরে এসে দেখিয়ে দিয়েছে ও কী করতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি বলব, বিরাট কোহালির নেতৃত্ব আর হার না মানা মনোভাবের অভাবটা ভাল করে বুঝতে পারছে ওর দল।
তিনটে দলকে এখন পর্যন্ত খুব ভাল দেখাচ্ছে। হায়দরাবাদ, কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। হায়দরাবাদ-কে দেখে খুব আত্মবিশ্বাসী এবং ব্যালান্সড একটা দল লাগছে। আর যখন কোনও একটা সময় মুস্তাফিজুর রহমান দলে ফিরবে, তখন ওদের আরও ভয়ঙ্কর লাগবে। কেকেআর-কে যথেষ্ট বিস্ফোরক একটা দল দেখাচ্ছে। কিন্তু ক্রিস লিনের চোটটা ওদের ধাক্কা দিতে পারে। আশা করব, খুব তাড়াতাড়ি ওরা একটা সমাধান বার করতে পারবে।
পঞ্জাবের জন্য আইপিএল-টা যেন একটা নাগরদোলা। কখনও ওপরে তো কখনও নীচে। বছর দু’য়েক আগে ফাইনালে খেলার পরে গত বছর প্লে অফেই উঠতে পারেনি। এ বছর কিন্তু পঞ্জাব-কে অনেক জমাট দেখাচ্ছে। ওদের অধিনায়ক সামনে থেকে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এ রকম ফর্মে থাকলে যে কোনও ম্যাচ ও একাই জিতিয়ে দিতে পারে।
পঞ্জাব টিমটায় সবচেয়ে বড় তফাত গড়ে দিয়েছে এমন এক জন যে মাঠে নামছে না। বীরেন্দ্র সহবাগ। বীরু দলটার মধ্যে একটা শান্ত ভাব এনে দিয়েছে। এমন একটা পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে ক্রিকেটারদের চাপে পড়তে হচ্ছে না। এই কাজটা নিজের ক্রিকেট জীবনেও খুব ভাল করত ও। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিন্তু এই ব্যাপারটা খুব জরুরি।