Kohli-Gambhir Controversy

ঝামেলা হজম হয়নি কোহলির, বোর্ডকে ‘গম্ভীর’ চিঠিতে নালিশ, কী লিখলেন বিরাট?

লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের শেষে বিরাট এবং গম্ভীরের মধ্যে বচসা হয়। সেই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিলেন বিরাট।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ১৩:০০
Share:

ম্যাচের শেষে বিরাট এবং গম্ভীর। —ফাইল চিত্র

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি দিলেন বিরাট কোহলি। আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের সঙ্গে বচসা হয় গৌতম গম্ভীরের। সেই প্রসঙ্গে বোর্ডকে চিঠি দিলেন বিরাট।

Advertisement

সেই চিঠিতে বিরাট জানিয়েছেন যে, বোর্ড তাঁর ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কেটে নেওয়াতে তিনি খুশি নন। সেই সঙ্গে বিরাট জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু বলেননি গম্ভীরকে যার জন্য এত বড় শাস্তি দেওয়া হল।

১ মে লখনউয়ে খেলা ছিল আরসিবি এবং এলএসজি-র। এই দুই দল বেঙ্গালুরুতেও খেলেছিল। সে বার গম্ভীর ঠোঁটে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করতে বলেছিলেন। জয়ের পর আগ্রাসী ভাবে উল্লাস করতে থাকেন গম্ভীর। যা ছিল বেশ চোখে লাগার মতো। লখনউয়ে খেলতে এসে বিরাটও পাল্টা দিতে থাকেন। লখনউয়ে অসংখ্য আরসিবি সমর্থকরা এসেছিলেন। তাঁরা বিরাটকে সমর্থন করছিলেন। বিরাট তাঁদের আরও জোরে চিৎকার করতে উৎসাহ দেন। মাঠের মধ্যে আঙুল দেখিয়ে চুপ করতে বলেন কাউকে। কখনও চুমু ছুড়ে দেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার উদ্দেশে।

Advertisement

ম্যাচ শেষে উত্তেজনা আরও বাড়ে। লখনউয়ের কাইল মেয়ার্স কথা বলছিলেন বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় লখনউ দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। গম্ভীর চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসেন। তাঁকে আটকে দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে যান গম্ভীর। উল্টো দিক থেকে আসেন বিরাটও। তিনিও উত্তপ্ত ভাবে কথা বলতে থাকেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।

কিন্তু সেখানেই সব থেমে যায়নি। তিনি যে গম্ভীরের কথা ভাল ভাবে নেননি সেটা কোহলির চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। বাউন্ডারির ধারে দাঁড়িয়ে রাহুলের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলেন তিনি। ঠিক সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন লখনউয়ের মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা। তাঁর সঙ্গে অবশ্য হাত মেলান কোহলি।

কী কথা হয়েছিল বিরাট এবং গম্ভীরের? তা-ও ফাঁস হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সে দিন কী ঝামেলার সময় কী কথা হয়েছিল কোহলি এবং গম্ভীরের। গম্ভীরই আগে কোহলির উদ্দেশে বলেন, ‘‘কী বলছিস বল।’’ জবাবে কোহলি বলেন, ‘‘আমি আপনাকে কিছু বলিইনি। আপনি কেন শুধু শুধু এর মধ্যে ঢুকছেন।’’ এর পর গম্ভীর বলেন, ‘‘তুই আমার কোনও খেলোয়াড়কে বলেছিস মানে তুই আমার পরিবারকে গালাগালি দিয়েছিস।’’ এর জবাবে কোহলি বলেন, ‘‘তা হলে আপনি আপনার পরিবারকে সামলে রাখুন।’’ কোহলির উত্তর শুনে গম্ভীর আবার বলেন, ‘‘তা হলে এখন তুই আমাকে শেখাবি?’’ এই ঘটনায় ম্যাচ ফি-র পুরোটাই জরিমানা হয় বিরাটের। একই শাস্তি পেতে হয় গম্ভীরকেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement