সাজঘরে ফিরেও রাগ কমল না বিরাটের। —ফাইল চিত্র
গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে মাঠে বচসার পর সাজঘরেও শান্ত হননি বিরাট কোহলি। সেখানে তিনি নাম না করে আক্রমণ করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টরকে। বুঝিয়ে দেন যে, সহজে ছাড়বার পাত্র তিনি নন। গম্ভীরকে পাল্টা ফিরিয়ে দেওয়ার মানসিকতা যে তাঁর ছিল, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরাট।
সোমবার লখনউয়ের মাঠে মুখোমুখি হয় সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেই ম্যাচ আরসিবি জেতার পরেই মাঠে বচসা হয় বিরাট এবং গম্ভীরের। সাজঘরে ফিরে বিরাট বলেন, “খুব মিষ্টি একটা জয়। মিষ্টি জয়। ইট মারলে পাটকেল খেতেই হবে। সেটা খেতে না জানলে ইট মারা উচিত নয়।” বেঙ্গালুরুর মাঠে গিয়ে গম্ভীর দর্শকদের চুপ করে থাকতে বলেছিলেন। বিরাটের সঙ্গেও তাঁর কঠিন দৃষ্টি বিনিময় হয়েছিল। সেই সব কিছু বিরাট যে মনে রেখে দিয়েছিলেন, সেটা স্পষ্ট। তাই লখনউয়ের মাঠে বিরাটকেও দেখা যায় আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে।
বিরাট সাজঘরে ফিরে বলেন, “এই জয়টা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লখনউয়ের মাঠে আমরা যে পরিমাণ সমর্থন পেয়েছি, সেটা অভাবনীয়। এটা প্রমাণ করে মানুষ আমাদের কতটা ভালবাসে। আমাদের জন্য তারা মাঠে আসে। খুব ভাল লেগেছে এই ম্যাচ জিতে। এই জয়টার একাধিক ভাল লাগার দিক থাকলেও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অল্প রান করেও আমরা ম্যাচ জিততে পেরেছি। জয়ের পথে ফিরে এসে ভাল লাগছে।”
সোমবার ম্যাচ শেষে কাইল মেয়ার্স কথা বলছিলেন বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় লখনউ দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। গম্ভীর চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসেন। তাঁকে আটকে দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে যান গম্ভীর। উল্টো দিক থেকে আসেন বিরাটও। তিনিও উত্তপ্ত ভাবে কথা বলতে থাকেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান।