কোহলির এই অন্য রূপ আবারও দেখা গিয়েছে শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে। — ফাইল চিত্র
চলতি আইপিএলে তিনটি ম্যাচে তিনি অধিনায়কত্ব করেছেন। সেই ম্যাচে ঘোষিত অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি খেললেও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমেছেন। মাঠে দায়িত্ব সামলেছেন তিনিই। এখন ডুপ্লেসি অধিনায়ক হিসাবে টস করতে যাচ্ছেন, পুরো ম্যাচে খেলছেন ঠিকই। কিন্তু মাঠের মধ্যে নেতা যেন বিরাট কোহলিই। তিনিই দলকে তাতাচ্ছেন। তিনিই দলকে উৎসাহ দিচ্ছেন। আবার উইকেট পড়লে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি উৎসব করতে দেখা যাচ্ছে।
কোহলির এই অন্য রূপ আবারও দেখা গিয়েছে শনিবার দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে। কোহলি এই ম্যাচে ৫৫ রান করেছেন। আইপিএলে ৫০টি অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে। ফিল্ডিং করতে নামার সময় তাঁর মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গিয়েছে। মাঠে নামার আগে ক্রিকেটাররা যখন গোল হয়ে দাঁড়ালেন, তখন কোহলিই কথা বলে দলকে তাতালেন। তাঁর কথায় বাড়তি উৎসাহ নিয়ে মাঠে নামলেন ক্রিকেটাররা। ডুপ্লেসি তখন যেন নেহাতই দর্শক। তাঁকে শুধু মাথা নেড়ে কোহলির কথা সম্মতি জানাতে দেখা গেল। কোহলির এই আলাদা রূপ পছন্দ হয়েছে দর্শকদেরও। তাঁরা সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টেও সে কথা লিখেছেন।
এ দিন আইপিএলের ইতিহাসে নজির গড়েছেন কোহলি। প্রথম ব্যাটার হিসাবে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সাত হাজার রান করেছেন তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে আইপিএলে ২৩৩টি ম্যাচে ৬৯৮৮ রান ছিল কোহলির নামের পাশে। গড় ৩৬.৬১। চলতি আইপিএলেও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। দিল্লিতে নামার আগে ৯টি ম্যাচে ৩৭৬ রান করেছেন তিনি।
২০১৬ সালে একটি মরসুমে ৯৭৩ রান করেছিলেন কোহলি। সেটি আজও এক মরসুমে সর্বোচ্চ রান। গত বার কাছাকাছি এসেও তা ভাঙতে পারেননি জস বাটলার। সে বার চারটি শতরান করেন কোহলি। সব মিলিয়ে আইপিএলে তাঁর পাঁচটি শতরান এবং ৪৬টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। সর্বোচ্চ ১১৩।
গত বছর আইপিএল সবচেয়ে খারাপ কেটেছিল কোহলির। ১৬টি ম্যাচে মাত্র ৩৪১ রান করেছিলেন তিনি। গড় ছিল মাত্র ২২.৭৩। গত বছর আইপিএলের ইতিহাসে মন্থর ভাবে একটি অর্ধশতরান করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কোহলি।