ওনলি কেকেআর। আইপিএলে এ ছাড়া আর কোনও অপশনই নেই আমার কাছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স ছাড়া অন্য টিমকে সাপোর্ট করলে বাড়ির লোক বলুন বা বন্ধু-বান্ধব, জাস্ট মেরে ফেলবে। তবে কেকেআর-এর পরে কোনও দলকে সাপোর্ট করার কথা বললে আমার নেক্সট চয়েস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আরও পড়ুন, ‘শাহরুখ এলে ইডেনে যাব’
মাঠে গিয়ে খেলা দেখা একদম হচ্ছে না, জানেন। আজও ইডেনে ডেয়ারডেভিলস-এর বিরুদ্ধে খেলবে কেকেআর। এ দিকে আবার সিরিয়ালের শুট চলছে। কয়েক দিন আগেই গোয়ায় গিয়েছিলাম একটা অ্যাডের শুটে। আর তা ছাড়াও ‘খোঁজ’ রিলিজ করবে, তার প্রোমোশন— সব মিলিয়ে মাঠে গিয়ে খেলা দেখার একদম সময় পাচ্ছি না। বাড়িতে বা শুটিং ব্রেকে দেখছি টিভিতে।
আরও পড়ুন, ‘অল দ্য বেস্ট কেকেআর’
স্কুলের শেষ দিকে বা কলেজে আমি নিজেও ক্রিকেট খেলতাম। ফার্স্ট ডাউন অথবা থার্ড ডাউন ব্যাটিংয়ে নামতাম। এখন আর হয় না। তবে এখানে বিসিএল মানে বেঙ্গল সেলিব্রিটি লিগ হয়েছিল। সেখানে ওপেন করেছিলাম। ভালই হয়েছিল। তবে আগের মতো ফিটনেস তো এখন আর নেই। খেলার পরের দিন শুটিং থাকলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যিশুদা এখনও কিন্তু দারুণ অ্যাক্টিভ মাঠে। আমি খুব অ্যাডমায়ার করি।
আরও পড়ুন, লং লিভ কলকাতা, লং লিভ ক্রিকেট!
যদিও আইপিএল-এর তুলনায় টেস্ট ক্রিকেট বা ওডিআই আমার বেশি পছন্দের। ঠিক যেমন ক্লাব ফুটবলের থেকে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল বেশি ভাল লাগে দেখতে। তবে ফাইনালি তো ব্যাট-বলের খেলা। দাদা যতদিন খেলেছেন আমি তাঁর অন্ধ ভক্ত ছিলাম। আর এখন বিরাটকে ফলো করি। ক্রিকেটের প্রতি ওঁর অ্যাটিটিউডটা দারুণ লাগে।
এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে কেকেআর।
খেলা দেখতে বসে একটা সময় খুব সুপারস্টিশন কাজ করত। এখন মেন্টালি আর সেটা নেই। একবার তখন ক্লাস সিক্স অথবা সেভেন। বাড়িতে বাবা আর আমি বসে খেলা দেখেছি। ভারত জঘন্য ভাবে হেরেছে। সৌরভ দুই অথবা তিন করেছিলেন।
আরও পড়ুন, ‘সৌরভ কমেন্ট্রি দিলে, আমি কমেন্ট্রিকেই সাপোর্ট করব’
নেক্টট ডে। বাবা বাইরে। আমি বাড়িতে খেলা দেখছি। সৌরভ-সচিন ওপেনিংয়েই প্রায় ১৫০ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেছে। ৫০ ওভারে ইন্ডিয়ার ব্যাটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে দিন বাবাকে বাড়িতে ঢুকে দিইনি। এ সব মনে পড়লে এখন হাসি পায়।