হেরে হতাশ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: আইপিএল।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসেই হেরে গিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করা এমনিতেই কঠিন। তার উপর শিশির পড়লে বল ধরতে আরও সমস্যা হয়। সেই মাঠে প্রথমে ব্যাট করে জিততে হলে অন্তত ২০০ রান করতে হত। চেন্নাই করে ১৬২ রান। চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন পঞ্জাব কিংসের দুই স্পিনার হরপ্রীত ব্রার ও রাহুল চাহার। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা?
ম্যাচ শেষে ব্রার জানান, পিচ থেকে যে সুবিধা পাবেন তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। শুধু ঠিক লাইন, লেংথ ও গতিতে বল ফেলেছিলেন। ব্রার বলেন, “উইকেটে সাহায্য ছিল। খেলার আগে উইকেট দেখার পরেই আমরা খুশি হয়েছিলাম। ঠিক করে নিয়েছিলাম, ভাল বল করতেই হবে। সেটা করতে পেরেছি।”
চিদম্বরম স্টেডিয়ামে যে ভাবে চেন্নাই সুপার কিংসের সমর্থকদের চিৎকার হচ্ছিল, তাতে শুরুতে কিছুটা চাপে ছিলেন সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রার। কিন্তু প্রথম ওভার বল করার পরে ধীরে ধীরে তাঁদের চাপ কেটে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্রার বলেন, “চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা খুব চিৎকার করছিলেন। তাই একটু চাপে ছিলাম। কিন্তু যে ভাবে বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল তাতে চাপ কিছুটা কেটে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে বাকি চাপটাও কেটে যায়। তখন শুধু নিজেদের কাজটা করার চেষ্টা করেছি।”
পিচের ঘূর্ণি কাজে লাগিয়েছিলেন পঞ্জাবের দুই স্পিনার। ব্রার বলেন, “উইকেটে ঘূর্ণি ছিল। তাই আমাদের মাথায় উইকেট নেওয়া ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমরা ঠিক করেছিলাম কয়েকটা ডট বল করতে হবে। তা হলেই ওরা চাপে পড়ে যাবে। বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসবে। সেটা ঠিক মতো করতে পেরেছি। উইকেট পড়ে যাওয়ায় ওদেরও সমস্যা হয়েছে রান তুলতে।”
ব্রার ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। অজিঙ্ক রাহানে ও শিবম দুবেকে পর পর দু’টি বলে আউট করেন তিনি। শিবম রান না পাওয়ায় চাপ বাড়ে চেন্নাইয়ের। অন্য দিকে রাহুল ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। তিনি রবীন্দ্র জাডেজা ও মইন আলিকে আউট করেন। স্পিনারদের দাপটে সমস্যায় পড়ে চেন্নাই। এমনকি শেষ দিকে রাহুলের বলে ধোনিও বড় শট খেলতে পারেননি। ফলে ১৬২ রানই তুলতে পারে চেন্নাই। সেখানে খেলা নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় পঞ্জাব।