অতিথি: নারাইনের দুই ভক্ত ড্যানিয়েল ও বেন। —নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবার সকালেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চেন্নাই উড়ে এসেছেন দুই ক্রিকেটভক্ত। ড্যানিয়েল ও বেন। ক্যারিবিয়ান তারকা সুনীল নারাইনের বিধ্বংসী ইনিংস দেখার অপেক্ষায় স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শেষমেশ তা পেলেনও। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস না থাকায় সব টিকিট এখনও বিক্রি হয়নি। তবে শনিবার সকাল থেকে হয়তো আর কোনও টিকিটই থাকবে না।
জোহানেসবার্গের দুই ক্রিকেটপ্রেমী হার্ড-রক মিউজ়িকের সঙ্গে যুক্ত। নিজেদের ব্যান্ডও আছে। নারাইন তাণ্ডব তাঁদের কাছে যেন হার্ড-রকের মতোই আগ্রাসী। ড্যানিয়েল বলছিলেন, ‘‘আজ সকালেই চেন্নাইয়ে উড়ে এসেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় কেকেআর-এর ভক্ত বেশি।’’ যোগ করেন, ‘‘শুধুমাত্র নারাইনের ব্যাটিং দেখতে এত দূর উড়ে এসেছি। আশা করি, কেকেআরই জিতবে। ওদের সঙ্গে টেক্কা দেওয়ার মতো আর কোনও দলই নেই। রবিবার নারাইনের ব্যাটে বড় রান দেখতে চাই। ওর ব্যাটিং এ বার এতটাই ভাল লেগেছে যে, ঠিক করলাম ফাইনাল চেন্নাইয়ে বসে দেখব। তাই চলে এলাম।’’
দক্ষিণী সঙ্গীত মন জয় করেছে তাঁর। বলছিলেন, ‘‘দক্ষিণ ভারতে অসাধারণ সব ছন্দের গান শুনছি। এক জনপ্রিয় পানশালায় বসেছিলাম। সেখানেও স্থানীয় ভাষাতেই গান বাজানো হচ্ছিল। আসনে বসে থাকতে পারছিলাম না। নাচতে ইচ্ছে করছিল। রক মিউজ়িকের সঙ্গে এখানকার ছন্দের অনেক মিল খুঁজে পেলাম।’’
বিশাখাপত্তনম থেকে আসা এক ব্যক্তি আবার আন্দ্রে রাসেলের জার্সি পরে স্টেডিয়ামের বাইরে ঘুরছিলেন। নাম দীনেশ রায়ডু। বলছিলেন, ‘‘আমি রাসেলের বড় ভক্ত। ওর মতো চুলে সোনালি রং করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মা অনুমতি দেননি।’’ যোগ করেন, ‘‘বিশাখাপত্তনমে বাঙালি বেশি। ওখানে অনেক বন্ধুই কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমর্থক। আমি আবার শাহরুখ খানেরও বড় ভক্ত। কেকেআর জিতলে আশ করি শাহরুখকেও দারুণ মেজাজে দেখার সুযোগ পাব।’’
শাহরুখের অপেক্ষা করছেন তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও। তাঁরাও চান, ফাইনালে উপস্থিত থাকুন বলিউডের বাদশা। ২০১২ সালে এই মাঠে কেকেআর প্রথম আইপিএল জেতার পরে শাহরুখের উৎসব ভোলেননি অনেকেই। প্রশ্ন একটাই, শাহরুখ কি আসছেন?