ইউসুফ পাঠান এবং তাঁর সেই টুইট। — ফাইল চিত্র।
অন্যান্য বছর এই সময়ে তিনি আইপিএলে ধারাভাষ্য দিতে ব্যস্ত থাকেন। এ বছরটা তাঁর কাছে একটু আলাদা। ইউসুফ পাঠান নেমেছেন অন্য ময়দানে। লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। কিন্তু ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন কী করে? ভোটপ্রচারের মাঝেই চলছে খেলা দেখা। হায়দরাবাদ বনাম মুম্বই ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্যের অধিনায়কত্ব দেখে রেগে গেলেন ইউসুফ।
বুধবার হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হতেই ইউসুফ লেখেন, “হার্দিকের কৌশল কোনও ভাবেই বুঝতে পারলাম না। কেন একজন স্পিনারকে দিয়ে শেষ ওভার করাতে গেল?” উল্লেখ্য, ম্যাচে শামস মুলানিকে দিয়ে শেষ ওভারটি করান হার্দিক। ২১ রান হজম করেন মুলানি। তাঁকে একটি চার এবং দু’টি ছয় মারেন ম্যাচের অন্যতম নায়ক হেনরিখ ক্লাসেন। এই ওভারেই আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে যায়। আরও একটি সিদ্ধান্তে অবাক তিনি। লেখেন, “হায়দরাবাদ ১১ ওভারে ১৬০-এর উপর রান করে ফেলেছে। বুঝতে পারছি না কেন যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে এখনও মাত্র একটা ওভার করানো হয়েছে। আপনার সেরা বোলারকে তো এ বার আনা উচিত। আমার কাছে এটা খারাপ অধিনায়কত্ব।”
ইউসুফ যে প্রায় গোটা ম্যাচটিই দেখেছেন সেটার প্রমাণ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) চোখ রাখলেই পাওয়া যাবে। বুধবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ তিনি শেষ বার ভোটপ্রচার সংক্রান্ত টুইট করেন। এর পরেই শুধু ম্যাচের প্রসঙ্গ। কখনও হায়দরাবাদের ইনিংস দেখে লেখেন, “কী অসাধারণ শুরু করল হায়দরাবাদ, ৯ ওভারে ১২০ রান!” আবার কখনও লেখেন, “দারুণ রান তাড়া করছে মুম্বই।” খেলা শেষের পরে ইউসুফের টুইট, “৫২৩ রানের জবরদস্ত একটা ম্যাচ।”
তাঁর ভাই ইরফান একটি চ্যানেলের হয়ে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। তিনি লেখেন, “যখন গোটা দল ২০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছে, তখন অধিনায়ক কোনও ভাবেই ১০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করতে পারে না।” উল্লেখ্য, রান তাড়া করার সময় হার্দিক ২০ বলে ২৪ করে আউট হন। স্ট্রাইক রেট ১২০। দলের মধ্যে সবচেয়ে কম।