উইকেট নেওয়ার পরে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাস আন্দ্রে রাসেলের (একেবারে ডান দিকে)। ছবি: আইপিএল।
টান টান লড়াই হল। শেষ বলে হল খেলার ফয়সালা। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারাল তারা। এই ম্যাচে কেকেআরের জয়ের তিন নায়ক কারা?
কলকাতার জয়ের তিন নায়ক:
১) ফিল সল্ট— ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাট করলেন সল্ট। সুনীল নারাইন হাত খুলতে পারছিলেন না। সেই সময় যদি সল্ট রান না করতে পারতেন তা হলে পাওয়ার প্লে-র ফায়দা তুলতে পারত না কেকেআর। নিজের কাজটা করলেন সল্ট। মাত্র ১৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। তার মধ্যে লকি ফার্গুসনের এক ওভারে নেন ২৮ রান। কেকেআরের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতরান করতে পারতেন তিনি। সেটা না পারলেও কেকেআরকে ভাল শুরু দেন সল্ট। সেই ভিতে ভর করেই ২২২ রান করে কেকেআর।
২) আন্দ্রে রাসেল— ইডেনে ব্যাটার রাসেলকে পায়নি কেকেআর। ২০ বলে ২৭ রান করেন তিনি। ঠিক মতো ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না রাসেলের। কিন্তু বল হাতে নিজের কাজ করলেন তিনি। রাসেল যখন বল করতে আসেন তখন বেঙ্গালুরুর রান ১১ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৭। উইল জ্যাকস ও রজত পাটীদার দু’জনেই অর্ধশতরান করে খেলছিলেন। তাঁরা আরও কিছু ক্ষণ খেললেন ম্যাচ কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে যেত। নিজের প্রথম ওভারেই জ্যাকস ও পাটীদারকে আউট করেন রাসেল। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দীনেশ কার্তিকের উইকেট নেন তিনি। কার্তিক যেমন ফর্মে ছিলেন তাতে শেষ ওভারে তিনিও খেলা শেষ করে দিতে পারতেন। ৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাসেল। বল হাতে দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা নেন তিনি।
৩) সুনীল নারাইন— আগের ম্যাচে শতরান করা নারাইন এই ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। ১৫ বলে ১০ রান করেন তিনি। কিন্তু বল হাতে নিজের কাজ করলেন নারাইন। রাসেলের জোড়া উইকেট নেওয়ার পরের ওভারেই আবার জোড়া উইকেট নেন নারাইন। একই ওভারে ক্যামেরন গ্রিন ও মহিপাল লোমরোরকে আউট করেন তিনি। দু’জনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটার। কিন্তু তাঁদের হাত খোলার সময় দেননি নারাইন। ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। দলের জয়ের বড় ভূমিকা নিয়েছেন তিনি।