টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সব টিমেরই লক্ষ্য থাকে প্লে-অফে যাওয়ার। আমাদেরও তাই ছিল। এখান থেকে সবাই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও চাই, কিন্তু একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে হবে।
আমরা জানি যে আমাদের লিগ টেবলে আরও ওপরের দিকে থাকা উচিত ছিল। এমনকী টেবলের শীর্ষে থাকারও ভাল সুযোগ ছিল আমাদের সামনে। যাই হোক, এখন আর ও সব ভেবে কোনও লাভ নেই। গ্রুপ পর্বে যা হয়েছে, তা ভুলে যেতে হবে। কে কত রান করেছে, কে কত উইকেট নিয়েছে, তার এখন কোনও মূল্যই নেই। এখন আবার সব নতুন করে শুরু করতে হবে।
পুণে এবং মুম্বইয়ের কাছে বাড়তি সুযোগ থাকবে ফাইনালে ওঠার। আমাদের আর হায়দরাবাদের কাছে অঙ্কটা খুব সোজা— চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে টানা তিনটে ম্যাচ জিততে হবে। কোনও দ্বিতীয় সুযোগের গল্প নেই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে আমরা বলে থাকি, এটা কত দ্রুতগতির খেলা। এখানে কত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখানে একটা ভুল মানে সব শেষ। সে সব ঠিক আছে। তবু আমি মনে করি, খেলা চলার সময় একটু ভেবে, অঙ্ক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আর এই সব সিদ্ধান্ত কিন্তু নকআউটে একটা ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারে। হ্যাঁ, টেস্ট ক্রিকেটের মতো লাঞ্চের সময় স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করার সময় নেই ঠিকই, কিন্তু তবু মাঠে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় ভাবার সময় আছে। সে আপনি ক্যাপ্টেন হোন, কী বোলার, ব্যাটসম্যান, ফিল্ডার যাই হোন না কেন। আমার মনে হয়, এই ধরনের ছোটখাটো সিদ্ধান্ত কিন্তু একটা টিমের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
আরও খবর: আইপিএল প্লে-অফে মহারাষ্ট্র ডার্বি
আমার মনে হয়, এই ধরনের চাপের ম্যাচে যারা প্রাথমিক ব্যাপার-স্যাপারগুলো ঠিকঠাক করতে পারবে, তাদের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় আরও একটা ব্যাপার। যেমন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে চিহ্নিত করে সেই সব সময় নিজের পারফরম্যান্সকে উন্নত করা। একটা চলতি ধারণা আছে যে, ইনিংসের শেষ দু’এক ওভারই একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেয়। কিন্তু ব্যাপারটা সব সময় তা নয়। ম্যাচের যে কোনও সময় এই ‘গেম চেঞ্জিং’ মুহূর্ত আসতে পারে। মাঝে মাঝেই ড্রেসিংরুমে প্লেয়াররা বলে থাকে, অমুক সময় আমরা ম্যাচটা হেরে গেলাম। সেটা ১২ নম্বর ওভারের প্রথম চারটে বলেও হতে পারে। প্লে-অফ খেলতে চিন্নাস্বামীতে ফিরতে পেরে ভাল লাগছে। এখানেই আমাদের ট্রফি জেতার সুখস্মৃতি আছে। আশা করব, এটা আমাদের পক্ষে একটা শুভ ইঙ্গিত হবে। এই মাঠটটা আমাদের কাছে পয়া।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ যথেষ্ট ভাল দল। বড় বড় নাম আছে দলে, যারা ঠিক সময় আসল খেলাটা খেলে দিচ্ছে। যাদের মধ্যে সবার আগে আসবে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা যদি শুরুতে ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নিতে পারি, ওদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে পারব। তবে আমরা এটা মাথায় রাখছি যে, কোনও দলই এক জনের ওপর নির্ভরশীল নয়।