IPL 2024

কার্তিকের ৮৩ রানের ঝড়েও হার কোহলিদের, আইপিএলে রেকর্ড রান তুলে জয় হায়দরাবাদের

আইপিএলে হেরেই চলেছে বেঙ্গালুরু। টানা পাঁচটি ম্যাচ হারলেন কোহলি ডুপ্লেসিরা। চিন্নাস্বামীর চেনা ২২ গজেও সুবিধা করে পারলেন না বেঙ্গালুরুর বোলারেরা। রেকর্ড ২৮৭ রান তুলল হায়দরাবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১২
Share:

নজির গড়ে জয় কামিন্সদের। ছবি: আইপিএল।

আইপিএলে আবার হারল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সোমবার বেঙ্গালুরুর ২২ গজেই হারতে হল বিরাট কোহলিদের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তোলা রেকর্ড ২৮৭ রানের জবাবে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হল ৭ উইকেটে ২৬২ রানে। ২৫ রানে জিতল হায়দরাবাদ। এই নিয়ে আইপিএলের সাতটি ম্যাচ খেলে ছ’টিতেই হারল বেঙ্গালুরু। দীনেশ কার্তিকের লড়াইও বেঙ্গালুরুর হার বাঁচাতে পারল না। অন্য দিকে, ছ’টি ম্যাচ খেলে চারটিতে জয় পেল হায়দরাবাদ।

Advertisement

এ দিন টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগালেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা। ট্র্যাভিস হেড, হেনরিক ক্লাসেনদের দাপুটে ব্যাটিংয়ের সুবাদে হায়দরাবাদ করল ৩ উইকেটে ২৮৭ রান। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস। ১৯ দিনের মাথায় নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙল হায়দরাবাদ। গত ২৭ মার্চ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান করেছিল প্যাট কামিন্সের দল।

বেঙ্গালুরুর ২২ গজে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। অভিষেক শর্মা ২২ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান। তিনি মারেন ২টি করে চার এবং ছয়। উইকেটের অন্য প্রান্তে লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন হেড। গত এক দিনের বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক অসি ব্যাটার শতরান পূর্ণ করলেন ৩৯ বলে। শেষ পর্যন্ত ৯টি চার এবং ৮টি ছয়ের সাহায্যে তিনি করলেন ৪১ বলে ১০২ রান। তিন নম্বরে নামা ক্লাসেনও রেয়াত করলেন না প্রতিপক্ষ বোলারদের। তাঁর ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ২টি চার এবং ৭টি ছক্কা।

Advertisement

পরে এডেন মার্করাম এবং আবদুল সামাদও দলের রান তোলার গতি বজায় রাখলেন। মার্করাম করলেন ১৭ বলে অপরাজিত ৩২ মারলেন ২টি চার এবং ২টি ছয়। বেশি আগ্রাসী ছিলেন সামাদ। তিনি অপরাজিত থাকলেন ১০ বলে ৩৭ রান করে। ৪টি চার এবং ৩টি ছয় এল তাঁর ব্যাট থেকে। বেঙ্গালুরুর সফলতম বোলার লকি ফার্গুসন ৫২ রানে ২ উইকেট নিলেন। ৬৮ রান খরচ করে ১ উইকেট নিলেন রিসি টোপলে।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেন কোহলিরাও। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। ওপেন করতে নেমে কোহলি করলেন ২০ বলে ৪২। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মারলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। অপর ওপেনার ডুপ্লেসি ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক নিজের ইনিংস সাজালেন ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কা দিয়ে। শুরুর ভালটা ধরে রাখতে পারলেন না বেঙ্গালুরুর পরের ব্যাটারেরা। পর পর আউট হলেন উইল জ্যাকস (৭), রজত পাটীদার (৯) এবং সৌরভ চৌহান (শূন্য)। ফলে বিনা উইকেটে ৮০ থেকে ৫ উইকেটে ১২২ হয়ে যায় বেঙ্গালুরু। এই চাপ আর সামলাতে পারেনি ডুপ্লেসির দল।

শেষ দিকে ব্যাট হাতে লড়াই করলেন কার্তিক। কিন্তু উইকেটের অন্য প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে দলকে জয়ের চৌকাঠ পার করে দিতে পারলেন না। ২৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কার্তিকের ব্যাট থেকে এল ৩৫ বলে ৮৩ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস। মারলেন ৫টি চার এবং ৭টি ছক্কা। তাঁর ইনিংস কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দেয় হায়দরাবাদকে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। মহিপাল লোমরোর করলেন ১১ বলে ১৯। দু’টি ছয় মারলেন। চেষ্টা করলেন অনুজ রাওয়াতও। তিনি করলেন ১৪ বলে ২৫ রান। মারলেন ৫টি বাউন্ডারি। তাতে অবশ্য লাভ হল না কিছু। বিজয়কুমার বৈশাখ করলেন অপরাজিত ১।

হায়দরাবাদের সফলতম বোলার কামিন্স ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ৪৬ রানে ২ উইকেট মায়াঙ্ক মরকান্ডে। ৪৭ রানে ১ উইকেট টি নটরাজনের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement