হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লখনউয়ের ম্যাচ বন্ধ থাকল কিছু ক্ষণ। ছবি: আইপিএল
হায়দরাবাদ বনাম লখনউ ম্যাচে হঠাৎই নাটক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে নাকি বোতল ছুড়তে থাকেন হায়দরাবাদের সমর্থকরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে। প্রায় মিনিট পাঁচেক বন্ধ থাকে ম্যাচ। আম্পায়ারদের মধ্যস্থতায় খেলা শুরু হয়।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৯তম ওভার চলছিল তখন। আবেশ খান বল করছিলেন আব্দুল সামাদের উদ্দেশে। আবেশের তৃতীয় বলটি কোমরসমান উচ্চতায় উড়ে আসে আব্দুলের দিকে। মাঠে থাকা আম্পায়ার ‘নো বল’ ডাকেননি। হায়দরাবাদ সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রিপ্লেতেও দেখা যায় আবেশের বল কোমরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারও সেটি ‘নো বল’ দেননি। তাতে রেগে যান হায়দরাবাদের ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। মাঠে থাকা আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন দর্শকদের একাংশও। কিছু ক্ষণ পরে লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে কয়েকটি বোতল এসে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৌতম গম্ভীর-সহ লখনউয়ের একাধিক কোচ এবং ক্রিকেটারকে মাঠের ভিতরে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। তাঁরা আম্পায়ারদের কিছু একটা বলেন। ‘নো বল’ না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছিলেন না দর্শকরা। তাই লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে বোতল এবং আরও কিছু জিনিস ছোড়া হয়।
কিছু সমর্থকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় লখনউয়ের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকে। অবস্থা সামাল দিতে মাঠের দুই আম্পায়ার তখন লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে ছুটে যান। তাঁদের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন ফ্লাওয়ার। লখনউয়ের কুইন্টন ডি’কক এবং হায়দরাবাদের ক্লাসেনও কিছু আলোচনা করেন। দর্শকদেরও শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তাঁরা।
তবে সমস্যা মিটে যায় কয়েক মিনিট পরেই। লখনউয়ের কোচ এবং দু’দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার পর আবার ম্যাচ শুরু করেন আম্পায়াররা। ইনিংস শেষে নিজের দলেরই দর্শকদের আচরণের নিন্দা করেছেন ক্লাসেন। পাশাপাশি আম্পায়ারদের সমালোচনা করেছেন।