বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৬৮ রান করে আউট হয়ে ফিরছেন শার্দূল। কেকেআর ক্রিকেটাররা দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন। ছবি: আইপিএল
৮৯ রানে পড়ে গিয়েছে ৫ উইকেট। নিজের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম বলেই শূন্য রানে ফিরে গিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল। সেই পরিস্থিতিতে অতি বড় কেকেআর সমর্থকও ভাবেননি শেষ পর্যন্ত ২০৪ রান পর্যন্ত পৌঁছবে কলকাতা। ইডেন দেখল শার্দূল ‘লর্ড’ (শার্দূলকে ভালবেসে এই নামেও ডাকেন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা) ঠাকুরকে। ২৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন, ক্রিকেট সত্যিই ‘মহান অনিশ্চয়তার খেলা।’ শেষ বল পর্যন্ত আগে থেকে কিছুই বলা যায় না।
শার্দূল যখন ব্যাট করতে নামেন তখন অন্য দিকে ব্যাট করছিলেন রিঙ্কু সিংহ। তাঁর প্রথম বল ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিতে যায়। কিন্তু তার পরে সব বল ব্যাটের মাঝে খেললেন শার্দূল। আরসিবি বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেন। তাতেই কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেল বিরাট কোহলিদের বোলিং আক্রমণ।
পেসার, স্পিনার কাউকে রেয়াত করেননি শার্দূল। মাঠের চারদিকে শট খেললেন। হাওয়ায় শট মারার পাশাপাশি মাটি ঘেঁষা ক্রিকেটীয় শটও খেললেন। মাত্র ২০ বলে নিজের অর্ধশতরান করে ফেললেন শার্দূল। এ বারের আইপিএলে এটি দ্রুততম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত ৬৮ রানের ইনিংসে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। শার্দূলের ব্যাটে রোশনাই ইডেনে।
এই ইনিংস খেলে জোড়া নজিরও গড়েছেন শার্দূল। আইপিএলে ৭ নম্বর বা তার নীচে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় সর্বাধিক রান করলেন তিনি। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন কলকাতারই আন্দ্রে রাসেল। ২০১৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে অপরাজিত ৮৮ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন চেন্নাইয়ের ডোয়েন ব্র্যাভো। ২০১৮ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৬৮ রান করেছিলেন ব্র্যাভো।
আইপিএলে ষষ্ঠ উইকেট বা তার নীচে সব থেকে বেশি রানের জুটির তালিকাতেও তিন নম্বরে রয়েছেন শার্দূল ও রিঙ্কু। ২০১২ সালে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের অম্বাতি রায়ডু ও কাইরন পোলার্ড জুটি করেছিলেন ১২২ রান। তাঁরাই শীর্ষে রয়েছেন। ২০০৮ সালে কেকেআরের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংসের ডেভিড হাসি ও ঋদ্ধিমান সাহা মিলে ১০৪ রান করেছিলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শার্দূলরা।