Rinku Singh

কলকাতার ‘পাঠান’কে ভিডিয়ো কল সিনেমার পাঠান-এর, কী কথা হল শাহরুখ-রিঙ্কুর?

উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারকে নিয়ে মুগ্ধ দলের মালিক শাহরুখ খান। সেই ম্যাচের পরেই নিজের সিনেমা পাঠানের পোস্টারে তাঁর বদলে রিঙ্কুর মুখ বসিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। কথাও হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০০
Share:

শাহরুখের সঙ্গে কী কথা বললেন রিঙ্কু? — ফাইল চিত্র

গুজরাতের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে শুধু কলকাতারই নয়, গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন রিঙ্কু সিংহ। উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারকে নিয়ে মুগ্ধ দলের মালিক শাহরুখ খানও। সেই ম্যাচের পরেই নিজের সিনেমা পাঠানের পোস্টারে তাঁর বদলে রিঙ্কুর মুখ বসিয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। এ বার জানা গেল, ম্যাচের পর ভিডিয়ো কলে কথাবার্তাও হয়েছে দু’জনের।

Advertisement

রিঙ্কু নিজেও সেই কথা বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে। শাহরুখের মেয়ে সুহানার পোস্ট দেখে তিনি যে বিহ্বল এবং লজ্জিত হয়ে পড়েছিলেন, সেটাও জানিয়েছেন। রিঙ্কুর কথায়, “ম্যাচের পর স্যর (শাহরুখ খান) আমাকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন।” কী কথা হল তা জানতে চাওয়ায় রিঙ্কুর উত্তর, “সে রকম কিছু নয়। উনি আমাকে অভিনন্দন জানালেন। আমি কোনও কথাই বলতে পারিনি। উনি এত বড় একজন মানুষ। আমার খুব লজ্জা লাগছিল।”

শাহরুখ ছাড়াও সেই ম্যাচের পর অনেকে রিঙ্কুকে অভিনন্দন জানান। অভিনেতা রণবীর সিংহ সমাজমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রিঙ্কুর ইনিংস দেখে। তিনি লেখেন, ‘‘রিঙ্কু!! রিঙ্কু!! রিঙ্কু!! রিঙ্কু!! এটা কী ছিল!?’’ ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘৮৩’-তে অধিনায়ক কপিলদেবের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন রণবীর।

Advertisement

উচ্ছ্বাস গোপন রাখতে পারেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। তিনিও সমাজমাধ্যমে কেকেআর এবং রিঙ্কুর ইনিংস নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সমাজমাধ্যমে অভিনেতা অর্জুন রামপাল লেখেন, ‘‘ও মাই গড! রিঙ্কু পর পর পাঁচটা ছয় মারল! কী অবিশ্বাস্য ভাবে রান তাড়া করে জিতল কেকেআর। আগে কখনও এমন জয় দেখিনি। অসম্ভব উপভোগ্য। অভিনন্দন কেকেআর।’’

সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো বলিউড অভিনেতারাও কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ে মুগ্ধ। রিঙ্কুর ইনিংসের প্রশংসা করেছেন প্রায় সকলেই। সেই ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, “আমি জানতাম আমি পারব। রানা ভাই (নীতীশ) আমাকে বলেছিল নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে। সেই সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে। তার পর যা হবে দেখা যাবে। আমার মাথায় শুধু ছক্কা হাঁকানোর কথাই ছিল। উমেশ ভাই (যাদব) আমাকে বলছিল বেশি না ভাবতে। শুধু নিজের মতো খেলতে। আমি কিছু ভাবছিলাম না। শুধু যেমন বল আসছিল, তেমন খেলছিলাম। প্রতিটা বল ব্যাটের মাঝখানেই লাগল। আমি বিশ্বাস রেখেছিলাম নিজের উপর, সেটার ফল পেলাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement