IPL 2024

অসুস্থতা নিয়েই জয়, ফাঁস অধিনায়ক সঞ্জুর, নিজের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট অশ্বিন

সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সঞ্জু বলেন, ‘‘কিছু ভাল দিন যেমন গিয়েছে, কিছু খারাপ দিনের সাক্ষীও হতে হয়েছে। কিন্তু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়ানোটাই গুরুত্বপূর্ণ।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৪ ০৮:০০
Share:

(বাঁ দিকে) সঞ্জু স্যামসন এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছবি: পিটিআই।

টানা চার ম্যাচ হারের পরে দুর্দান্ত জয়ে আইপিএল খেতাবি দৌড়ে থেকে যেন পায়ের নীচে শক্ত জমি ফিরে পেলেন সঞ্জু স্যামসন। বুধবার ম্যাচের পরে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক জানিয়ে গেলেন, নতুন ভাবে লড়াই করার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে দল।

Advertisement

সম্প্রচারকারী চ্যানেলে সঞ্জু বলেন, ‘‘কিছু ভাল দিন যেমন গিয়েছে, কিছু খারাপ দিনের সাক্ষীও হতে হয়েছে। কিন্তু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ঘুরে দাঁড়ানোটাই গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থতার জন্য আমাদের দলে অনেকেই নিজেদের একশো শতাংশ সেরা ক্রিকেট খেলতে পারেনি, তার পরেও কোচ সঙ্গকারা স্যর ম্যাচের যে নকশা তৈরি করেছিলেন, তা ঠিক ভাবে প্রয়োগ করেছি। তার জন্য সতীর্থদের কাছে কৃতজ্ঞ।’’ যোগ করেন, ‘‘ব্যাটিং বিভাগে আমাদের দলে অনেক তরুণ রয়েছে, যাদের অভিজ্ঞতাও খুব বেশি নয়। তার পরেও দলীয় সংহতি বজায় রেখে জিতেছি। ড্রেসিংরুমে স্বস্তির মেজাজ আবার ফিরেছে।’’

১৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘‘বাটলার দেশে ফিরে গিয়েছে। হেটমায়ারের চোট রয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল, যে কোনও মূল্যে এই রানটা করতেই হবে। না হলে আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যাবে। প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’’

Advertisement

নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে অশ্বিনের মূল্যায়ন, ‘‘পেটের পেশিতে ব্যথার কারণে আইপিএলের প্রথম পর্বে তেমন ভাল বোলিং করতে পারিনি। আসলে টেস্ট ক্রিকেট খেলে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে লড়াই করতে হলে শরীরকে সেই মতো তৈরি করে নিতে হয়। আমি তাই সময় নিয়েই বেশ কয়েকটি ম্যাচে কম বোলিং করেছি। এখন সমস্যা নেই।’’

এ দিকে, দীনেশ কার্তিকের আউট বাতিল নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। তৃতীয় আম্পায়ারের সমালোচনায় সুনীল গাওস্কর, রবি শাস্ত্রী-রা। বুধবার আইপিএলের এলিমিনেটরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। বল করছিলেন আবেশ খান। ১৪.৩ ওভারে বল সরাসরি লাগে কার্তিকের প্যাডে। তিনি একটি রানও নেন। আবেশ এলবিডব্লিউয়ের জন্য আবেদন করেন। আম্পায়ার আউটের নির্দেশও দেন। এর পরেই কার্তিক ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট দেন। তাঁর মতে, বল আগে ব্যাটে লেগেছিল। কার্তিক-কে রানও দেওয়া হয়। কিন্তু টিভি রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে, কার্তিকের ব্যাট প্রথমে তাঁর প্যাডে লাগে। এর পরে বল গিয়ে লাগে প্যাডে। প্যাডে না লাগলে বল উইকেট ভেঙে দিত। নিয়ম অনুযায়ী আউট। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ের সিদ্ধান্তে বেঁচে যান কার্তিক। যদিও ১৩ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হন তিনি।

গাওস্কর বলেছেন, ‘‘বল প্যাডে লেগেছে। ব্যাটে কিন্তু লাগেনি। ডিআরএসের সিদ্ধান্ত ভুল।’’ শাস্ত্রী বলেন, ‘‘তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিস্মিত। মাঠের বড় স্ক্রিনে সকলেই দেখেছেন, বল ব্যাটেই লাগেনি। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল।’’ রাজস্থান রয়‌্যালসের কোচ কুমার সঙ্গকরা চতুর্থ আম্পায়ারের কাছেও ছুটে গিয়েছিলেন প্রতিবাদ জানাতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement