আর্থিক প্রতারণা পন্থের সঙ্গে ফাইল ছবি
বিরাট আর্থিক প্রতারণার শিকার হলেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে কম দামে গয়না এবং ঘড়ি দেওয়ার নাম করে বোকা বানিয়ে টাকা আদায় করেছেন এক ব্যক্তি। এখন তিনি মুম্বইয়ের আর্থার রোডের জেলে বন্দি। কিন্তু টাকা ফেরত পাওয়ার জন্যে পন্থকেও ভার্চুয়াল শুনানিতে থাকতে হবে। আইপিএলে খেলার কারণে এতদিন ধরে যা সম্ভব হচ্ছিল না।ঘটনাটি প্রায় এক বছর আগের হলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীকেও একই ভাবে প্রতারিত করায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পন্থের আইনজীবী একলব্য দ্বিবেদী সম্প্রতি আর্থিক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ করেছেন।
দ্বিবেদীর দাবি, ২০২০-র শেষের দিকে বা ২০২১-র প্রথম দিকে অভিযুক্ত মৃণাঙ্ক সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় পন্থের। কোনও এক আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাতে হাজির ছিলেন দু’জনে। মৃণাঙ্ক দাবি করেছিলেন, তিনি হরিয়ানার হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসার কারণে অল্পেতেই দু’জনের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। তখনই মৃণাঙ্ক পন্থকে জানান, তিনি একটি নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন। বিলাসবহুল জিনিসপত্র আমদানি এবং বিক্রি করার ব্যবসা। পন্থ চাইলে সেগুলি তিনি কম দামে তাঁকে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। পন্থ রাজি হয়ে যান। বড় অঙ্কের অর্থ তিনি ট্রান্সফার করে দেন মৃণাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।
বেশ কিছুদিন পরেও যখন সেই জিনিসগুলি পন্থ পাননি, তখন আইনজীবীর সাহায্যে মৃণাঙ্ককে তিনি আইনি নোটিস পাঠান। মৃণাঙ্ক জানান, টাকা তিনি ফিরিয়ে দেবেন। রফা হয় ১.৬৩ কোটি টাকার। মৃণাঙ্ক একটি চেকও দেন। কিন্তু তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সেই চেকটি গ্রাহ্য হয়নি। দ্বিবেদী জানান, ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে এই চেক তাঁর মক্কেলকে দেওয়া হয়েছিল। এখন সুদ-সহ টাকার অঙ্ক বেড়ে ১.৮০ বা ১.৯০ কোটি হয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ তুলে মামলা করেন পন্থ। এর আগের শুনানিতে হাজির থাকতে পারেননি তিনি। আগামী ১৯ জুলাই ফের শুনানি রয়েছে। ওই দিন ভার্চুয়ালি হাজির থাকার কথা পন্থের।