IPL 2023

অনুষ্কা নন, কোহলির ভাবনায় ছিলেন অন্য নায়িকা! ফাঁস করলেন বিরাটের বন্ধুর মা

ছোট থেকেই বড় স্বপ্ন দেখতেন কোহলি। তখনই ঠিক করে ফেলেছিলেন কাকে বিয়ে করবেন। কে সেই নারী? জানিয়েছেন কোহলির ছোটবেলার এক বন্ধুর মা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ১৯:৪০
Share:

কোহলির ছোটবেলার নানা কথা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে আরসিবি। ছবি: আইপিএল।

বন্ধুর ডায়েরিতে বিরাট কোহলি লিখেছিলেন নিজের লক্ষ্যের কথা। একটি বড় লক্ষ্যের কথা লিখেছিলেন খুদে ক্রিকেটার। প্রকাশ্যে এসেছে কোহলির হাতে লেখা বন্ধুর ডায়েরির সেই পাতা।কোহলি কোন অভিনেত্রীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, তা ফাঁস করে দিয়েছেন তাঁর এক বন্ধুর মা।

Advertisement

আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে কোহলিকে নিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে কোহলিকে নিয়ে দিল্লির মানুষের আবেগ ধরা পড়েছে তাতে। উঠে এসেছে তাঁর ছেলেবেলার নানা অজানা কথা। ছোট বেলার কোচ রাজকুমার শর্মা, বন্ধু শলজ সোন্ধি এবং তাঁর মা নেহা সোন্ধি কোহলি সম্পর্কে বলেছেন নানা কাহিনি।

বন্ধু শলজের ডায়েরিতে এক দিন নিজের লক্ষ্যের কথা লিখেছিলেন কোহলি। সেই লেখা থেকেই জানা গিয়েছে ছোটবেলায় কোহলির একটি বড় লক্ষ্যের কথা। শলজ বলেছেন, ‘‘আমার একটা স্ক্র্যাপ বুক ছিল। বন্ধুদের মনে রাখার জন্য ডায়েরিটা ব্যবহার করতাম। ওরা নিজেরাই নিজেদের কথা লিখে দিত ডায়েরিতে। কোহলিও নিজের স্বপ্নের কথা লিখেছিল। ২০০২ বা ২০০৩ সালে বিরাটও লিখেছিল। তখন থেকেই ও স্বপ্ন দেখত ভারতের হয়ে খেলার। সে কথা ওই ডায়েরিতেও লিখেছিল।’’

Advertisement

কী ছিল কোহলির দ্বিতীয় লক্ষ্য? সে কথা জানিয়েছেন নেহা। তিনি বলেছেন, ‘‘মদনলাল অ্যাকাডেমিতে একটা ম্যাচ ছিল। অ্যাকাডেমির বাইরে সিনেমার পোস্টার বা কোনও একটা বিজ্ঞাপনে চোখ পড়েছিল বিরাটের। সেটা দেখিয়ে কোহলি বন্ধুদের বলেছিল, ‘এক দিন আমি অনেক বড় হব। আর এ রকমই কোনও নায়িকাকে বিয়ে করব।’ বিরাট এখনও একই রকম আছে। এত বড় হলেও অন্তত আমাদের সঙ্গে ব্যবহারে কোনও পার্থক্য হয়নি। কিছু দিন আগে একটা অনুষ্ঠানে আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরেছিল। বরং আমিই একটু দোনামোনা করছিলাম ওর কাছে যেতে।’’

রাজকুমার জানিয়েছেন, ছোট থেকেই কোহলির সব কিছু ছিল ক্রিকেটকে ঘিরে। নিজের লক্ষ্যকে তাড়া করার ক্ষেত্রে সব সময় অবিচল থাকতেন। এখন কোহলি নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা মেনে চলেন। খাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সংযমী তিনি। ছোটবেলায় কিন্তু তেমন ছিলেন না। রাজকুমারের কথায়, ‘‘কোহলি একটু পেটুক বাচ্চা ছিল। অনুশীলনের পর প্রচুর খেত। মোমো এবং চাউমিন খেতে খুব ভালবাসত।’’ নেহা বলেছেন, ‘‘অনুশীলন শেষে বিরাটই সবার আগে খেতে চলে আসত। টিফিন বক্স খোলার আগেই জিজ্ঞেস করত, ‘কাকিমা আজ কী এনেছ?’ মাঝে মাঝে কোনও খাবার তৈরি করে আনার আবদারও করত। টিফিন বক্স নিয়ে সারা মাঠ দৌড়ত। যাতে অন্য কাউকে ভাগ দিতে না হয়।’’ শলজ বলেছেন, ‘‘অনুশীলনের পর আমরা দু’জন প্রতিযোগিতা করে খেতাম। মাঠের বাইরেই একটা চিনা দোকান ছিল। সেখানে আমরা প্রতিযোগিতা করে মোমো, বার্গার খেতাম।’’

ছোটবেলায় কোহলি খুব দুষ্টু ছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজকুমার। কোহলির দুষ্টুমির কথা বলেছেন ছোটবেলার সতীর্থ শলজও। তিনি বলেছেন, ‘‘অনুশীলন শুরুর আগে রাজকুমারস্যর আমাদের দৌড়তে পাঠাতেন। বিরাট কিছুটা দৌড়নোর পর পিছিয়ে পড়লে রাস্তায় দুধওয়ালা বা কারও সাইকেলে উঠে পড়ত। তাকে বলত সবার আগে যে দৌড়ছে, তার সামনে নামিয়ে দিতে। স্যর দেখতেন ও সবার আগে দৌড় শেষ করছে। এ ভাবে প্রশংসা পেয়ে যেত। আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। তবে ও খুব প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল। ও ব্যাট করলে আমাদের কিছু ভাবতে হত না।’’ রাজকুমারও বলেছেন, ‘‘ছোট থেকেই কোহলির মধ্যে নিজের কাজের প্রতি প্রচণ্ড দায়বদ্ধতা ছিল। মাঠে সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement