রবিবার রাতে বিরাট কোহালির প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল না, ওর যন্ত্রণাটা কোথায়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে এই ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জিতলে লিগ টেবলের ওপর দিকে চলে যেত ওরা। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স একটা অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়ে গেল।
ইডেনের পিচ আর আউটফিল্ডের কথা মাথায় রাখলে এই ১৩২ রানের লক্ষ্যটা বিশাল কিছু নয়। কিন্তু কেকেআরের ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত বল করে গেল। ইডেনের পিচ সম্ভবত এই মুহূর্তে দেশের সেরা পিচ। সবাই এখন থেকে কিছু না কিছু ফায়দা তুলছে। এটা দেখে ভাল লাগল যে, এখানে প্রথম ইনিংসে স্পিনাররা আর দ্বিতীয় ইনিংসে ফাস্ট বোলাররা উইকেট তুলে নিয়ে গেল।
এ বারের আইপিএল মাঝপথে চলে এসেছে। ফলে এখন হার-জিতটা যে কোনও দলের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে। যেমন রবিবারের ম্যাচটায় হল।
আরসিবি-র হয়ে যুজবেন্দ্র চহাল খুব ভাল খেলছে। এই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ও অনেক উন্নতি করেছে। জাতীয় দলের হয়ে ভাল খেলার ছাপটা ওর বোলিংয়ে পড়ছে। কলকাতার ব্যাটসম্যানরা দারুণ শুরু করার পরে আরসিবি-র স্পিনাররা ম্যাচটা ধরে নিয়েছিল। আমি নিশ্চিত, কলকাতা ইনিংসের শেষে মাঠের ৭৫ শতাংশ মানুষ ধরে নিয়েছিল, আরসিবি ম্যাচটা জিততে চলেছে।
আরও পড়ুন: কোহালির আজ ওয়ার্নার পরীক্ষা
কলকাতাকে ছন্দে ফেরাল নেথান কুল্টার নাইল। খুব ভাল গতিতে বল করল। বিরাট কোহালিকে শুরুতে তুলে নিয়ে কেকেআর-কে রাস্তাটা কুল্টার নাইলই দেখিয়েছিল। কেকেআর এ বার ওদের টিমটা তৈরি করেছে ইডেনের পরিবেশের কথা মাথায় রেখে। আর দেখুন, সেই সিদ্ধান্তটা কী রকম খেটে গেল। আর গেল কি না, এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।
আমার মনে হয় ইডেনের পিচের গতি অবাক করে দিয়েছিল আরসিবি ব্যাটসম্যানদের। ক্রিস গেল এবং এ বি ডিভিলিয়ার্সের কথাই ধরুন। ওরা যে ক্লাসের ব্যাটসম্যান তাতে এ ভাবে আউট হবে, ভাবাই যায় না। আরও ভাবা যায় না, একটা টিম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অলআউট হয়ে যাচ্ছে। সেই অঘটনটা ঘটানোর জন্য নাইটদের বিশেষ কৃতিত্ব দিতেই হবে।
আইপিএল আরও একটা সপ্তাহে গড়াল। কয়েকটা টিম ওপরে উঠছে, কয়েকটা টিম নীচে নেমেছে। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস আর গুজরাত লায়ন্স সম্ভবত দু’টো টিম যারা নিজেদের খেলায় হতাশ হবে। বিশেষ করে গুজরাত। ঘরের মাঠে পর পর দু’টো ম্যাচ হেরে বসল ওরা।