যখন দেখে মনে হচ্ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর জয়ের দিকে এগচ্ছে, ঠিক তখনই ১১ বলের মধ্যে চার উইকেট পড়ে গেল বিরাট কোহলীদের। আবার যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের দখলে, তখনই ওয়াংখেড়েতে দেখা গেল দীনেশ কার্তিক ঝড়। সঙ্গ দিলেন শাহবাজ আহমেদ।
জুটিতে লুটি ছবি: আইপিএল
পেন্ডুলামের মতো দুলল ম্যাচ। যখন দেখে মনে হচ্ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর জয়ের দিকে এগচ্ছে, ঠিক তখনই ১১ বলের মধ্যে চার উইকেট পড়ে গেল বিরাট কোহলীদের। আবার যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের দখলে, তখনই ওয়াংখেড়েতে দেখা গেল দীনেশ কার্তিক ঝড়। সঙ্গ দিলেন শাহবাজ আহমেদ। এই দু’জনের দাপটে রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রায় হারতে বসা ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতল বেঙ্গালুরু।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অন্য ম্যাচের মতো শুরুটা হয়নি রাজস্থানের। মাত্র ৪ রান করে আউট হন যশস্বী জায়সবাল। আগের ম্যাচের ছন্দে ছিলেন না জস বাটলারও। দ্রুত রান না উঠলেও দেবদত্ত পাড়িক্কলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৭ রান করে হর্ষল পটেলের বলে আউট হন পাড়িক্কল। রান পাননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।
প্রথম ১৫ ওভারে খুব দ্রুত রান না উঠলেও উইকেটে ছিলেন বাটলার। তার ফল পেলেন শেষ দিকে। শেষ দু’ওভারে উঠল ৪২ রান। শিমরন হেটমায়েরকে সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৬৯ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭০ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। হেটমায়ের করলেন ৪২ রান।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ও তরুণ অনুজ রাওয়ত। দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ পাওয়ার প্লে-তে রান দিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান উঠল। আরসিবি-কে প্রথম ধাক্কা দিলেন স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল। ডুপ্লেসিকে ২৯ রানের মাথায় ফেরত পাঠালেন তিনি। অনুজকে ২৬ রানের মাথায় আউট করলেন নবদীপ সাইনি।
নবম ওভারে সব থেকে বড় ধাক্কা খায় আরসিবি। ডেভিড উইলির পায়ে লেগে বল একটু দূরে গেলে রান নেওয়ার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলী। কিন্তু তাঁকে ফেরত পাঠান উইলি। তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই সঞ্জুর থ্রো ধরে উইকেটে লাগিয়ে দেন চহাল। পরের বলেই উইলিকে বোল্ড করেন তিনি।
পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে আরসিবি-কে জেতানোর দায়িত্ব এসে পড়ে বাংলার শাহবাজ ও প্রাক্তন নাইট কার্তিকের কাঁধে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এক ওভারে ২১ রান তুলে দলকে খেলায় রাখেন কার্তিক। তাঁকে সঙ্গ দিলেন শাহবাজ।
ফিনিশারের ভূমিকায় ফের এক বার দেখা গেল কার্তিককে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বোলারদের সঙ্গে ছেলেখেলা করলেন তিনি। মাঠের চার দিকে শট মারলেন। বড় শট খেললেন শাহবাজও। তিনি কেন আরসিবি-র প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পান তা দেখালেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন শাহবাজ। বাকি রান হর্যলের সঙ্গে মিলে তুলে দেন কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন কার্তিক।