শতরানের পর উইল জ্যাকসের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
গত বারের আইপিএলে চোটের খেলতে পারেননি। তাঁর পরিবর্ত নিতে হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। এ বারের আইপিএলে শুরুর দিকে সুযোগ না দিলেও অবশেষে দলে জায়গা করে নেন। রবিবার সেই ক্রিকেটারের ব্যাটেই এল শতরান। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৪১ বলে শতরান করে আইপিএল মাতিয়ে দিলেন উইল জ্যাকস। ৫০ থেকে ১০০ রানে পৌঁছতে নিলেন মাত্র ৬ মিনিট।
জ্যাকস এমন ইনিংস খেলতে অভ্যস্ত। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ‘দ্য হান্ড্রেডে’ ৪৮ বলে ১০৮ রান করেছিলেন তিনি। রবিবার ৩১ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন জ্যাকস। পরের ৫০ রান করেন ১০ বলে। মোট ১০টি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন জ্যাকস। ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে ইংরেজ ব্যাটারকে দলে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু। কিন্তু গত বারের আইপিএল শুরুর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান লাগে জ্যাকসের। আর আইপিএল খেলা হয়নি। এ বারে অভিষেক হয় আইপিএলে। পাঁচ ম্যাচে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করে ফেলেছেন জ্যাকস। রবিবার বিরাট কোহলির সঙ্গে ১৭৬ রানের জুটি গড়েন জ্যাকস। এর মধ্যে ১০০ রানই তাঁর। দলের যখন ৭ রান বাকি, তখন জ্যাকসের শতরান করতে বাকি ছিল ১২ রান। পর পর দু’টি বলে ছক্কা মেরে দলকেও জেতালেন, সেই সঙ্গে শতরানও করলেন জ্যাকস।
২৫ বছরের জ্যাকস অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে অফস্পিনটাও করতে পারেন তিনি। বেঙ্গালুরুর হয়ে বল হাতে শুরু করেছেন কয়েকটি ম্যাচে। ইংল্যান্ডের হয়ে জ্যাকসের অভিষেক হয় ২০২২ সালে। যদিও এক বছর আগেই দেশের জার্সি পরার সুযোগ চলে এসেছিল তাঁর কাছে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি করোনার জন্য। বাতিল হয়ে গিয়েছিল পুরো সিরিজ়টাই। তবে সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন জ্যাকস। রাওয়ালপিণ্ডিতে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু হয়। পরে অবশ্য দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলে ফেলেছেন জ্যাকস।
রবিবার বিরাটের সঙ্গে ইনিংস গড়েন জ্যাকস। উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে তাঁর ৪১ বলে করা শতরান দেখে উচ্ছ্বসিত বিরাট। তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, “দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথম দিকে বল ঠিক মতো ব্যাটে লাগছিল না বলে রেগে যাচ্ছিল। আমি ওকে বার বার শান্ত হতে বলি। আমরা জানি জ্যাকস কতটা ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারে। সেটাই দেখা গেল।”
গুজরাত রবিবার আমদাবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২০০ রান করেছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমে বেঙ্গালুরু চার ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয়। ১৫তম ওভারটি করতে এসেছিলেন মোহিত শর্মা। তখনও জয়ের জন্য ৫৩ রান বাকি ছিল বিরাটদের। মোহিতের সেই ওভারে ২৯ রান নেন জ্যাকস। তিনটি ছক্কা এবং দু’টি চার মারেন তিনি। পরের ওভারেই খেলা শেষ করে দেন। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে বিরাট এক রান নেন। পরের পাঁচটি বলে চারটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন জ্যাকস। শতরানের সঙ্গে ম্যাচ পকেটে ভরে নেন তিনি। ব্যাট চাপড়ে প্রশংসা করেন বিরাট।