মাঠেই প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছেন বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র
বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে হওয়া বিবাদে এ বার নাক গলালেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের প্রাক্তন কোচের মতে, দু’জন এত বড় ক্রিকেটারের মধ্যে বিবাদ হওয়া উচিত নয়। কোহলি ও গম্ভীরকে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে দু’জনের সঙ্গে কথা বলতে তিনি রাজি।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় দু’এক দিনের মধ্যে ওরা শান্ত হয়ে যাবে। তখন দু’জনেই বুঝতে পারবে বিষয়টা অন্য ভাবে মিটিয়ে নেওয়া যেত। দু’জনেই একই রাজ্যের ক্রিকেটার। একসঙ্গে অনেক ক্রিকেট খেলেছে ওরা। গম্ভীর দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছে। কোহলিকে সবাই আদর্শ মনে করে। আমার মনে হয়, ওরা যদি এক জায়গায় বসে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেয় তা হলে সব থেকে ভাল করবে।’’
শাস্ত্রীর মতে, বিরাট ও গম্ভীরের মধ্যে এক জনকে এগিয়ে আসতে হবে। আর সেটা করতে হবে দ্রুত। নইলে সমস্যা আরও বাড়বে। দরকার পড়লে তিনি নিজে মধ্যস্থতা করতে রাজি। শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘যেই এগিয়ে আসুক, তাড়াতাড়ি আসতে হবে। নইলে এই সমস্যা বাড়তেই থাকবে। পরের বার আবার যখন দু’জনের দেখা হবে তখন আবার বিবাদ হবে। সেটা আরও বাড়বে। যদি আমি ওদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে পারি, তা হলে সেটাই করব।’’
আইপিএলে সোমবার ম্যাচ চলাকালীনই নবীনের সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় কোহলির। লখনউয়ের ইনিংসের শেষ দিকে বিরাটের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আফগান বোলারের। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসতে হয় আম্পায়ারদের। সেই বিবাদ ম্যাচের পরেও চলতে থাকে। নবীন আউট হওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সেখানে এসে উপস্থিত হন দু’দলের বাকি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। কোহলি ও গম্ভীর দু’জনেই দিল্লির। লখনউয়ের স্পিনার অমিত মিশ্র ও সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়াও দিল্লির হয়ে খেলেছেন। সেই কারণে তাঁরা কোহলি, গম্ভীরকে ভাল ভাবে চেনেন। তাঁরাই বেশি উদ্যোগী হয়ে দু’জনকে আলাদা করেন। লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও ছিলেন সেখানে। কোহলিকে সরিয়ে নিয়ে যান আরসিবির অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি।