সাফল্য কিন্তু সহজে আসছে না। যশস্বীর ছন্দের পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। ছবি: আইপিএল
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শতরান। কলকাতার বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে প্রায় শতরানের দোরগোড়ায় এসে থেমে যাওয়া। ক্রিকেটপ্রেমীরা মুগ্ধ যশস্বী জয়সওয়ালের দাপট দেখে। এ বারের আইপিএলে নিজেকে নতুন ভাবে মেলে ধরছেন তিনি। প্রতিভার বিচ্ছুরণ আগেই দেখা গিয়েছিল। এই আইপিএলে যশস্বীকে নতুন রূপে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচের পর ইডেনে বসে নিজের সাফল্যের মন্ত্র এবং পরিশ্রমের নেপথ্যকাহিনি শোনালেন রাজস্থানের ব্যাটার।
প্রথমেই যশস্বী বলেছেন, “অনেক দিন এই ইনিংসটা মনে রাখব। খুব আগ্রাসী একটা ইনিংস খেলেছি। ব্যাট করতে নামার সময় মনে হয়েছিল আমার হাতে খুব কম সময় রয়েছে। হঠাৎই মনে হল, সব ঠিকঠাকই যাচ্ছে। তাই ঠিক করলাম, এ ভাবেই চালিয়ে খেলব। আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংস এটা।”
তবে এই সাফল্য কিন্তু সহজে আসছে না। যশস্বীর ছন্দের পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। সেখানে যেমন অনুশীলনে নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে, তেমনই রয়েছে আদর্শ শিক্ষার্থী হিসাবে ক্রিকেটের রথী-মহারথীদের থেকে পরামর্শ শুনে তা কাজে লাগানো।
যশস্বী বলেছেন, “নির্দিষ্ট রুটিন এবং সেটা অনুসরণ আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ফোকাস সব সময়ে সেটার উপরেই রাখার চেষ্টা করি। প্রতিটা ম্যাচ থেকে কিছু না কিছু শিখি। নিজের খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এর থেকে ভাল উপায় নেই।”
রাজস্থানের ক্রিকেট ডিরেক্টর জুবিন ভারুচার একটি অ্যাকাডেমি রয়েছে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলার তালেগাঁও গ্রামে। অবসর সময়ে সেটাই যশস্বীর সাধনাস্থল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটান ব্যাটিং অনুশীলন করে। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে যশস্বী বলেছেন, “জুবিনস্যরের সঙ্গে সব সময়ই ব্যাটিং নিয়ে কথা হয়। তালেগাঁওতে দারুণ একটা অ্যাকাডেমি রয়েছে আমাদের। আমার সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি সেখানেই হয়। সব ধরনের শট খেলতে পারি। নিজেকে ফিট রাখি।”
একই সঙ্গে বড়দের উপদেশ তো রয়েছেই। যশস্বী বললেন, “ক্রিকেটীয় পরিবেশের মধ্যে থাকতে ভালবাসি। আমার চারপাশে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার রয়েছে। সুযোগ পেলেই এমএস ভাই, বিরাট ভাই, রোহিত ভাই, জস ভাই, সঞ্জু ভাইদের সঙ্গে কথা বলি। জেনে নিই কী ভাবে নিজেকে শান্ত রাখা যায়। কী ভাবে ভাবনাচিন্তায় বদল আনা যায়। সব সময় কিছু শেখার চেষ্টা করে খেলায় উন্নতি করার চেষ্টা করি।”