আইপিএলে লজ্জার নজির গড়লেন বাটলার। ছবি: আইপিএল।
গত বারের আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এ বার ছন্দহীন। পর পর তিন ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন জস বাটলার। সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও ভরসা দিতে পারলেন না রাজস্থান রয়্যালসকে। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধেও শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে বাটলার আইপিএলে গড়লেন এক লজ্জার নজির।
শুক্রবারের ম্যাচে বাটলার ৪ বল খেলে কোনও রান করতে পারেননি। এই নিয়ে এ বারের আইপিএলে পাঁচটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। বাটলারকে চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না এ বার প্রথম থেকেই। লিগের শেষের দিকে পর পর ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়ে সমর্থকদের হতাশা বাড়ালেন ইংরেজ অধিনায়ক। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের আইপিএল পর্যন্ত মাত্র একটি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। আর শুধু এ বারেই পাঁচটি ইনিংসে কোনও রান করতে পারলেন না।
বাটলারের আগে কোনও ক্রিকেটার কোনও এক বছরের আইপিএলে পাঁচটি ইনিংসে শূন্য রানে আউট হননি। এক মরসুমে সব থেকে বেশি বার শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির ছিল হার্সেল গিবসের। ২০০৯ সালের আইপিএলে ডেকান চার্জাসের হয়ে চারটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মতোই একই আইপিএলে চারটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন মিঠুন মানহাস। ২০১১ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে চারটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
গত বছর আইপিএলে চারটি শতরান-সহ ৮৬৩ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের কমলা টুপি জিতেছিলেন বাটলার। এ বার ১৪টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯২ রান। এই রানও আইপিএলে বাটলারের তৃতীয় সেরা পারফরম্যান্স। এ বার পাঁচটি শূন্যর পাশাপাশি চারটি অর্ধশতরানও করেছেন বাটলার।