IPL 2023

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কোনও মতে রাজস্থানকে হারাল পঞ্জাব! বিফলে গেল হেটমায়েরদের লড়াই

পর পর দু’ম্যাচে জিতল পঞ্জাব কিংস। প্রথমে ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানোর পরে এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচেও জিতলেন শিখর ধাওয়ানরা। মুখে হাসি প্রীতি জ়িন্টার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৪৫
Share:

রাজস্থানকে হারাল পঞ্জাব। ম্যাচ জিতে উল্লাস দলের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল

প্রথমে দেখে মনে হচ্ছিল হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতবে পঞ্জাব কিংস। ম্যাচ জিততে শেষ ১৮ বলে ৫৩ রান দরকার ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। কিন্তু শেষ ৩ ওভারে খেলার ছবি বদলে দেন শিমরন হেটমায়ের ও ধ্রুব জুড়েল। হঠাৎ হারের আতঙ্ক চেপে বসে শিখর ধাওয়ানদের মনে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত রাজস্থানকে জেতাতে পারলেন না দুই ব্যাটার। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ৫ রানে জিতল প্রীতি জ়িন্টার দল।

Advertisement

টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন পঞ্জাবের দুই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও আউট হয়ে গিয়েছিলেন প্রভসিমরন। কিন্তু এই ম্যাচে উইকেট দিয়ে এলেন না তিনি। ট্রেন্ট বোল্ট, জেসন হোল্ডার, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলারদের বিরুদ্ধে অবলীলায় বড় শট খেললেন তিনি। ওপেনিং জুটিতে উঠল ৯০ রান। ৩৪ বলে ৬০ রান হোল্ডারের বলে আউট হলেন প্রভসিমরন। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি।

তিন নম্বরে নামা রাজাপক্ষ অবশ্য রান পাননি। ধাওয়ানের শট সরাসরি তাঁর হাতে গিয়ে লাগে। বেশ কিছু ক্ষণ যন্ত্রণায় কাতরানোর পরে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরে ধাওয়ানের সঙ্গে জুটে বাঁধেন জীতেশ শর্মা। দু’জনেই দ্রুত রান করছিলেন। প্রভসিমরমের পরে অর্ধশতরান করেন পঞ্জাব অধিনায়ক ধাওয়ানও।

Advertisement

শেষ দিকে কিছুটা ম্যাচে ফেরে রাজস্থান। পঞ্জাবের মিডল অর্ডারে কয়েকটি উইকেট তাড়াতাড়ি পড়ে যাওয়ায় রানের গতি কিছুটা কমে। কিন্তু এক দিকে ছিলেন ধাওয়ান। তাঁকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন রাজস্থানের বোলাররা। গোটা মাঠ জুড়ে শট মারছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে পঞ্জাব। ধাওয়ান ৮৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। অল্পের জন্য এই মরসুমে নিজের প্রথম শতরান ফস্কান তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রাজস্থানের। ফিল্ডিংয়ের সময় জস বাটলার আঙুলে চোট পাওয়ায় যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নতুন বলে দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নেন আরশদীপ সিংহ। তিন নম্বরে নেমে বাটলারও বেশি রান করতে পারেননি। ১৯ রান করে আউট হন তিনি।

রাজস্থানের মিডল অর্ডারে অধিনায়ক সঞ্জু ভাল খেললেও দেবদত্ত পড়িক্কলের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। ফলে রানের গতি খানিকটা কমে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন সঞ্জু। ৪২ রান করেন তিনি। দেবদত্ত ২১ রান করে আউট হন। পঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে নজর কাড়েন নেথান এলিস। ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি।

দেখে মনে হচ্ছিল খেলা রাজস্থানের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তখনও কিছু চমক বাকি ছিল। প্রথমে রিয়ান পরাগ ও তার পরে শিমরন হেটমায়ের বড় শট খেলা শুরু করেন। অসমের ছেলে রিয়ান ঘরের মাঠে ২০ রান করে আউট হয়ে গেলেও হেটমায়ের একের পর এক বড় শট খেলছিলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা তরুণ ধ্রুব জুড়েল। ২২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ১৮তম ওভারে ১৯ এবং ১৯তম ওভারে ১৮ রান করেন তাঁরা। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। বল করছিলেন কারেন। নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানে শেষ হয় রাজস্থানের ইনিংস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement