কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। ছবি: পিটিআই।
রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে নামছে কলকাতা। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় বার হতে চলেছে দুই দলের দ্বৈরথ। প্রথম সাক্ষাতে জিতেছিল কেকেআর। এ বার কি ‘ডাবল’ করতে পারবে তারা? আটকে রাখা যাবে বিরাট কোহলিকে? প্রথম একাদশে কাদের নিলে ম্যাচ জিততে পারে কেকেআর? খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
ফিল সল্ট: আগের ম্যাচে রান পাননি। কিন্তু সল্টের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। কোনও ম্যাচে তিনি দাঁড়িয়ে গেলে একার হাতে ম্যাচ বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তার প্রমাণ এই আইপিএলেই পাওয়া গিয়েছে। আরসিবি-র বিরুদ্ধে তাঁর ব্যাটে বড় ইনিংস দেখা যেতেই পারে।
সুনীল নারাইন: আগের ম্যাচে শতরান করেছেন। তাঁকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দল হারলেও নারাইনের শতরান নজর কেড়ে নিয়েছে। শুরুর দিকে তিনি চালিয়ে খেলায় পরের দিকের ব্যাটারেরা অনেক খোলা মনে খেলতে পারছেন। নারাইন রানও করছেন সমানতালেই। বলেও আছে নিয়ন্ত্রণ।
অঙ্গকৃশ রঘুবংশী: তরুণ ব্যাটার প্রতিটি ইনিংসেই ভরসা দিচ্ছেন দলকে। শুরুতে দল উইকেট হারালে তিনি যে ধস সামাল দিতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন। প্রয়োজনে চালিয়ে খেলে দলের ভিত গড়ে দিতে পারেন।
শ্রেয়স আয়ার: কেকেআরের অধিনায়কের ফর্ম মোটেই ভাল যাচ্ছে না। এতটাই ধীরে খেলছেন যে পরের দিকের ব্যাটারেরা সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। অধিনায়ক নিজেই নিজেকে বাদ দেবেন কি না সেটা প্রশ্ন। কিন্তু সমর্থকদের বার্তা দিতে শ্রেয়সের ব্যাট থেকে বড় রান আসা খুবই দরকার।
মণীশ পাণ্ডে: কলকাতাকে কাপ জেতানো ক্রিকেটার এ বারের আইপিএলে এখনও সুযোগ পাননি। কিন্তু রমনদীপ সিংহকে প্রথম একাদশে রেখে খুব একটা লাভ হচ্ছে না। মণীশ দলে এলে খুব খারাপ খেলবেন না। তিনি অভিজ্ঞ। দীর্ঘ দিন খেলছেন আইপিএলে। আরসিবি-র বিরুদ্ধে অবশ্যই তাঁকে নামানো উচিত।
বেঙ্কটেশ আয়ার: এ বারের আইপিএলে এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যাট থেকে ভাল ইনিংস দেখা যায়নি। চাপের মুখেও দলকে ভরসা দিতে পারেননি। দলে নিজের জায়গা টিকিয়ে রাখতে গেলে কোহলিদের বিরুদ্ধে ফর্মে ফিরতেই হবে তাঁকে। না হলে তরুণদের কাছে জায়গা হারাতে হতে পারে।
আন্দ্রে রাসেল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটার ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিচ্ছেন। তবে বল হাতে আরও দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর একটি ওভার বদলে দিয়েছিল ম্যাচের ফলাফল। কোহলিদের বিরুদ্ধে রাসেলের পুরনো ফর্ম দেখা যাবে কি না সময়ই বলবে।
রিঙ্কু সিংহ: গত বারের মতো এ বার তাঁকে বেশি নামতে হচ্ছে না। কারণ শুরুর দিকের ব্যাটারেরা ভাল খেলে দেওয়ায় সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু রিঙ্কু এমন একজন ব্যাটার, যিনি আগে ব্যাট করলে দলকে ভাল রানে পৌঁছে দিতে পারেন। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তো তাঁর জুড়ি নেই।
মিচেল স্টার্ক: ২৫ কোটির ক্রিকেটার আগের ম্যাচে আবার ‘অর্ধশতরান’ করেছেন। চার ওভারে গলিয়েছেন ৫০ রান। কোহলিদের দলেও অনেক মারকুটে ব্যাটার রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে স্টার্ককে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হলেও অনেক বেশি নিয়ন্ত্রিত বল করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার পেসারকে।
বৈভব অরোরা: ধারাবাহিক ভাবে উইকেট পেলেও গত দু’টি ম্যাচে অনেক রান দিয়েছেন। আরসিবি-র বিরুদ্ধে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে অরোরাকে। তাঁকে আগামী দিনের প্রতিভা হিসাবে দেখা হচ্ছে। তার দাম রাখতে হবে অরোরাকে।
বরুণ চক্রবর্তী: গত ম্যাচে রাজস্থান প্রচুর রান করলেও বরুণ চার ওভারে ৩৬ রানের বেশি দেননি। বস্তুত, হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ ছাড়া কোনও ম্যাচেই খুব বেশি রান দিয়েছেন এটা বলা যাবে না। কিন্তু আরও বেশি উইকেট নিতে হবে তাঁকে। মাঝের ওভারগুলিতে রানও কম দিতে হবে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: দুপুরে ৩.৩০ থেকে খেলা। কেকেআরের উচিত দলে একজন পেসার রেখে স্পিনারের সংখ্যা বাড়ানো। আনন্দবাজার অনলাইনও তেমনই সম্ভাব্য একাদশ তৈরি করেছে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামানো উচিত সূযশ শর্মাকে। মণীশ পাণ্ডে বা অঙ্গকৃশ রঘুবংশীর মধ্যে কাউকে বসানো যেতে পারে।