দ্বিতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে কলকাতাকে। সেই হারের ৪৮ ঘণ্টা পরেই পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নামবেন শ্রেয়স আয়াররা। হারের পরেও তৃতীয় ম্যাচে কি একই দল রাখবে কলকাতা? না কি দলে কোনও বদল করতে পারে ম্যানেজমেন্ট। কোন কোন বিদেশি খেলতে পারেন দলে?
বেঙ্কটেশ আয়ার: প্রথম দুই ম্যাচে বেশি রান করতে না পারলেও বেঙ্কটেশের উপরে ভরসা রয়েছে ম্যানেজমেন্টের। ব্যাটের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেন তিনি।
অজিঙ্ক রহাণে: প্রথম ম্যাচে সিএসকে-র বিরুদ্ধে রহাণের ৪৪ রান দলকে জিততে সাহায্য করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে রান না পেলেও বেঙ্কটেশের সঙ্গে ওপেনার হিসাবে তাঁকেই দেখা যাবে।
শ্রেয়স আয়ার: প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়কের ব্যাটে রান নেই। শীঘ্র সেই ছবি বদলাতে চাইবেন শ্রেয়স। পঞ্জাব ম্যাচে বিধ্বংসী শ্রেয়সকে দেখা যেতে পারে।
নীতীশ রানা: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ভাল ছন্দে ছিলেন। কিন্তু আরসিবি-র বিরুদ্ধে রান পাননি। তার পরেও কলকাতার মিডল অর্ডারের বড় ভরসা নীতীশ।
শেল্ডন জ্যাকসন: ব্যাটে রান না থাকলেও প্রথম দু’টি ম্যাচেই উইকেটের পিছনে ভাল খেলেছেন শেল্ডন। তাই তৃতীয় ম্যাচেও তিনি দলে থাকবেন।
আন্দ্রে রাসেল: কলকাতার সব থেকে বিধ্বংসী ব্যাটার। তিনি এক বার ছন্দে খেলা শুরু করলে বিপক্ষের ঘুম কেড়ে নেন। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে শুরু করেও আউট হয়ে যান। তিনি যত তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরবেন তত ভাল কলকাতার জন্য।
মহম্মদ নবি: স্যাম বিলিংস ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রান পাননি। তাঁর জায়গায় নবিকে খেলাতে পারে কেকেআর। অভিজ্ঞ এই বোলার ব্যাটটাও বেশ ভাল করেন। প্রথম একাদশে এই একটি বদলেরই সম্ভাবনা রয়েছে।
সুনীল নারাইন: প্রথম দুই ম্যাচে দুরন্ত বল করেছেন। বিপক্ষ ব্যাটারদের আটকে রাখতে তাঁর উপর ভরসা করছেন শ্রেয়স।
টিম সাউদি: দলে ঢুকেই আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৩ উইকেট নিয়েছেন। বোলিংয়ের শুরুতে উমেশের সঙ্গে থাকবেন সাউদি।
উমেশ যাদব: প্রথম দুই ম্যাচেই কলকাতাকে শুরুতে উইকেট এনে দিয়েছেন। তিনি শ্রেয়সের বোলিং আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র।
বরুণ চক্রবর্তী: এখনও নিজের ছন্দে আসতে পারেননি বরুণ। তবে তাঁর উপর ভরসা রয়েছে ম্যানেজমেন্টের। নারাইনের সঙ্গী হিসাবে তাঁকেই দেখা যাবে।