রিঙ্কু, সুযশ কি শনিবার ইডেন মাতাতে পারবেন? ছবি: পিটিআই
চলতি মাসেরই ৯ এপ্রিল আমদাবাদে গুজরাত টাইটান্সের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই ম্যাচ দেখেছিল রিঙ্কু সিংহ নামে এক অখ্যাত ক্রিকেটারের অবিস্মরণীয় ইনিংস। শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা ম্যাচ জেতানো আইপিএলের রূপকথায় পরিণত হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাই শনিবার দুপুরে ইডেন গার্ডেন্সে যখন কেকেআর আবার মুখোমুখি হবে গুজরাতের, তখন রিঙ্কুর নাম উঠে আসারই কথা।
সেই ম্যাচের পর থেকে এখনও খেলতে পারেননি যশ দয়াল। শরীর খারাপ হওয়ায় তিনি গুজরাত দলে এক রকম ব্রাত্যই হয়ে গিয়েছেন। অন্য দিকে রিঙ্কুর উত্থান হয়েছে। প্রথম একাদশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এখন তাঁকে ছাড়া দল গঠনের কথা ভাবাই যায় না। শনিবারের বারবেলায় কি রিঙ্কু সিংহ কলকাতার বুকে আর একটা কালবৈশাখী আনতে পারবেন?
উত্তরটা সময়ই দেবে। কিন্তু কলকাতার কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম। কলকাতার কাছে আর একটাও ম্যাচে হার মানে প্লে-অফের গ্রহ থেকে দূরে সরে যাওয়া। টানা চার ম্যাচে হারের পর বেঙ্গালুরুতে গিয়ে বিরাট কোহলির আরসিবিকে হারিয়ে এসেছে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। সেই আত্মবিশ্বাস শনিবার গুজরাতের বিরুদ্ধেও দেখানোর অপেক্ষায় নাইট শিবির।
কলকাতার সামনে গুজরাত।
শনিবার দিল্লির সামনে হায়দরাবাদ।
ম্যাচ মোটেও সহজ হবে না। গুজরাত কিন্তু সেই ম্যাচের পর থেকে ক্রমশই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। লিগ তালিকায় তারা এখন দ্বিতীয় স্থানের। রাজস্থানের থেকে তফাত স্রেফ নেট রান রেটের। গুজরাতের সবচেয়ে বড় গুণ, তারা কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের উপর নির্ভর করে না। আগের ম্যাচে বিপদের মুখে অসাধারণ খেলে দিয়েছিলেন ডেভিড মিলার এবং অভিনব মনোহর। কবে যে কে জ্বলে উঠবেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তাই আলাদা করে কেকেআর কারও বিরুদ্ধে পরিকল্পনাও করে রাখতে পারছে না।
কলকাতার নিজেরও অনেক সমস্যা রয়েছে। লিটন দাস দেশে ফিরে গিয়েছেন। তাঁকে আর পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে ওপেনিংয়ে কলকাতার হাতে কমে গিয়েছে বিকল্প। পেস বোলিং বিভাগ এখনও আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারেনি। প্রতি ম্যাচেই পেসাররা রান গলাচ্ছেন। ফলে রবিবার স্পিন বিভাগকেই জেতানোর দায়িত্ব নিতে হবে।