কলকাতা নাইট রাইডার্স দল। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলে কলকাতার নিজেদের দল। অন্য দিকে লখনউ সুপার জায়ান্টস। যাদের মালিক সঞ্জীব গোয়েন্কা নিজে কলকাতার শিল্পপতি। অর্থাৎ, রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার সঞ্জীবের দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কলকাতাই। কঠিন লড়াই গৌতম গম্ভীর, শ্রেয়স আয়ারদের কেকেআরের সামনে।
আইপিএলে পরিসংখ্যান লখনউয়ের পক্ষে। এর আগে দু’দল তিন বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছে। তিন বারই জিতেছে লখনউ। শেষ বার দু’দলের সাক্ষাৎ হয়েছিল ইডেনেই। গত মরসুমে সেটিই ছিল গত বার গ্রুপ পর্বে কেকেআরের শেষ ম্যাচ। প্লে-অফে জিততে হলে বড় ব্যবধানে সেই ম্যাচে কলকাতাকে জিততে হত। কিন্তু সেই ম্যাচ হেরে বিদায় হয়ে যায় কেকেআরের। তাই এ বার প্রথম জয়ের লক্ষ্যে নামার পাশাপাশি বদলার ম্যাচ কেকেআরের।
এ বারও দু’দলের ছবিটা অনেকটা একই রকমের। প্রথম তিনটি ম্যাচ জেতার পরে চতুর্থ ম্যাচে হারতে হয়েছে কেকেআরকে। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার বাদ দিলে আগের তিন ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা। অন্য দিকে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ হারলেও তার পরে টানা তিনটি ম্যাচ জেতে লখনউ। আগের ম্যাচে অবশ্য দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হারতে হয়েছে লোকেশ রাহুলদের। অর্থাৎ, দু’দলই আগের ম্যাচ হেরে ইডেনে রবিবার খেলতে নামছে। পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর। চার ম্যাচে তিন জয়ের ফলে ৬ পয়েন্ট তাদের। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ের ফলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে লখনউ।
এই মরসুমে কেকেআরের প্রধান শক্তি তাদের দলগত খেলা। কোনও এক জনের উপর দল নির্ভর করছে না। কোনও ম্যাচে টপ অর্ডার, তো কোনও ম্যাচে নীচের সারির ব্যাটারেরা রান করছেন। পেসার, স্পিনার দুই বিভাগই ভাল খেলছে। লখনউ ভাল খেললেও তাদের ব্যাটিং মূলত রাহুল ও কুইন্টন ডি’ককের উপরেই নির্ভর করছে। টপ অর্ডার তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলে সমস্যায় পড়ছে লখনউ। তবে তাদের বোলিং ফর্মে রয়েছে। ইডেনে খেলতে পারবেন না গতিতে নজর কাড়া মায়াঙ্ক যাদব। তিনি না থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন কেকেআরের ব্যাটারেরা।
গত দুই মরসুমে লখনউয়ের মেন্টর ছিলেন গৌতম গম্ভীর। এ বার তিনি কলকাতার মেন্টর। পুরনো দলকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। প্রত্যেক ক্রিকেটারের শক্তি-দুর্বলতা জানেন। তাই কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে কেকেআর। কারণ, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করতে সুবিধা হবে তাদের। নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে জিততে চাইবেন গম্ভীরও। দুপুরে খেলা হওয়ায় শিশিরের সাহায্য কোনও দল পাবে না। তাই টস এই ম্যাচে নির্ণায়ক হতে পারবে না। তবে যে দলই টস জিতুক, দুপুরের গরমে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা।
গত বারের মতো এ বারও ইডেনে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে নামবেন লখনউয়ের ক্রিকেটারেরা। কারণ, সঞ্জীব ফুটবলে মোহনবাগানের মালিক। সেখানেও লখনউয়ের একটি কলকাতা যোগ রয়েছে। এখন দেখার দুই কলকাতার লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে।
রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে শুরু হবে খেলা। টেলিভিশন খেলা দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে। তা ছাড়া জিয়ো সিনেমা অ্যাপেও দেখা যাবে খেলা।