চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। —ফাইল চিত্র।
গৌরব যাদব, ডেভিড ওয়াইসির পরে এ বার আশুতোষ শর্মা। আবার অভিযোগ উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের বিরুদ্ধে। আইপিএলে বৃহস্পতিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংসকে জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন আশুতোষ। ১৭ বলে ৩১ রান করেছেন তিনি। সেই আশুতোষেরই নাকি কেরিয়ার শেষ হয়ে যেত। তার নেপথ্যে ছিলেন পণ্ডিত।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন রেলওয়েজ়ের হয়ে খেলেন আশুতোষ। এই আগে তিনি খেলতেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে। সেই দলেরই কোচ পণ্ডিত। আশুতোষ সরাসরি পণ্ডিতের নাম নেননি। তিনি বলেন, “আমি জিম থেকে সোজা হোটেলে নিজের ঘরে ফিরতাম। ধীরে ধীরে অবসাদে চলে যাচ্ছিলাম। কী ভুল করেছি সেটা কেউ বলছিল না। মধ্যপ্রদেশে নতুন কোচ এসেছিলেন। তাঁর পছন্দ না হলে দলে কেউ সুযোগ পেত না। প্রস্তুতি ম্যাচে আমি ৪৫ বলে ৯০ রান করেছিলাম। তার পরেও আমাকে দলে নেওয়া হয়নি।”
২০২০ থেকে ২০২২ সালের কথা বলেছেন আশুতোষ। তিনি পণ্ডিতের নাম না করলেও ২০২০ সালেই মধ্যপ্রদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন পণ্ডিত। তাই আশুতোষের নিশানায় যে পণ্ডিতই, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় ছ’টি ম্যাচে আমি তিনটি অর্ধশতরান করেছিলাম। তার পরেও আমাকে মাঠে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়। আমি অবসাদে চলে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমার কেরিয়ার শেষ।” তার পরেই অবশ্য রেলওয়েজ়ের হয়ে খেলার প্রস্তাব পান আশুতোষ। তিনি সেখানে চলে যান। সেখানে ভাল খেলায় নিলামে তাঁকে কেনে পঞ্জাব কিংস।
আইপিএলের পয়েন্ট তালিকা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পণ্ডিতের বিরুদ্ধে কয়েক দিন আগে মুখ খুলেছিলেন কেকেআরে খেলে যাওয়া ওয়াইসি। তিনি বলেছিলেন, “দলের মধ্যে কিছু ঘটনা চলে। পর্দার আড়ালে কিছু না কিছু চলে। তবে ক্রিকেটারেরা কিছু ব্যাপার পছন্দ করে না। সাজঘরে অনেক পরিস্থিতিই বেশ কঠিন মনে হয় সকলের। দলের নতুন কোচের কিছু বিষয় অনেকেই পছন্দ করে না। তিনি দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে ঠিক মতো আলোচনাও করেন না।” নামিবিয়ার অলরাউন্ডার আরও বলেছিলেন, ‘‘বেশ কিছু পরিবর্তন ছেলেদের হতাশ করে তুলেছিল। কোচ অনেক কিছু পরিবর্তন করলেও সাফল্য দিতে পারেননি। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাল করে কথাও বলেন না কেকেআরের নতুন কোচ।”