মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ভারতীয় দলকে বড় সাহায্য করল কলকাতা। ছবি: আইপিএল।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের ক্রমতলিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন সূর্যকুমার যাদব। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার রান পাচ্ছিলেন না আইপিএলে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রথম তিনটি ম্যাচে তিনি করেছিলেন ১৫, ১ এবং শূন্য রান। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আবার চেনা মেজাজে দেখা গেল সূর্যকুমারকে।
পেটের সমস্যার জন্য রবিবার মুম্বইকে নেতৃত্ব দেননি রোহিত শর্মা। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে শুরু ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে মুম্বইকে নেতৃত্ব দিলেন সূর্যকুমার। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়ে হারানো ছন্দে ফিরে পেলেন সূর্যকুমার। তাঁকে ছন্দে ফেরাতে অবদান রইল কলকাতার দুর্বল বোলিংয়েরও। যে সহ শট খেলে আউট হচ্ছিলেন এত দিন, রবিবার সেই সব শটই সূর্যকুমার অনায়াসে পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। তাঁর ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা।
রান না পাওয়ায় চাপ বাড়ছিল সূর্যকুমারের উপর। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর তাঁকে ব্যাটিং নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। অনুশীলনে পরামর্শ নিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকরের থেকেও। রোহিতরা অবশ্য তাঁর উপর আস্থা হারাননি। মুম্বই কোচ মার্ক বাউচারও ভরসা রেখেছিলেন মিডল অর্ডারের আগ্রাসী ব্যাটারের উপর। রবিবার কলকাতার বিরুদ্ধে দলের সেই আস্থার মর্যাদা দিলেন সূর্যকুমার।
গত ৭ জানুয়ারি রাজকোটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সূর্য। তার পর ভারত এবং মুম্বইয়ের হয়ে ছ’টি ইনিংসে অর্ধশতরানও করতে পারেননি তিনি। গত মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সূর্যকুমার। রান পাননি তার আগে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়েও।
এক দিনের বিশ্বকাপের বছরে সূর্যকুমারের হঠাৎ ছন্দপতন উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল ভারতীয় দলের। সাদা বলের ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা সূর্যকুমার। কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে রানে ফিরিয়ে বড় উপকার করল রাহুল দ্রাবিড়ের দলের।