আইপিএল ফাইনালে খেলা শুরুর আগে চেন্নাইয়ের ডাগআউটে বসে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: আইপিএল
এই বছর মাঠে নেমে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তবে পরের বার ভূমিকা বদলে যেতে পারে ধোনির। আগামী বছর থেকে চেন্নাই সুপার কিংসের ডাগআউটে বসেই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন মাহি। তেমন একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ধোনি নিজের এ বারের প্রতিযোগিতা শেষে জানিয়েছেন, এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তাঁর হাতে এখনও ৮-৯ মাস সময় রয়েছে। তিনি দেখবেন তাঁর শরীর ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেবেন। জানা গিয়েছে, আইপিএল শেষ হওয়ার পরে হাঁটুর চিকিৎসা করাতে পারেন ধোনি। দেখে বোঝা যাচ্ছে, হাঁটুর পরিস্থিতি ভাল নেই। এ বার গোটা প্রতিযোগিতা জুড়ে বাঁ হাঁটুতে আইসপ্যাক বেঁধে রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এ বারের আইপিএলে চেন্নাইকে জিতিয়েছে ধোনির অধিনায়কত্ব। ব্যাট হাতে তেমন দেখা যায়নি তাঁকে। কয়েকটি ম্যাচে চার-ছক্কা মারলেও আগের ধোনি আর নেই। পরের বার তাঁর বয়স আরও এক বছর বাড়বে। তাই তাঁর পক্ষে গোটা মরসুম জুড়ে খেলার ধকল নেওয়া সহজ নয়। তার পরেও অবশ্য দলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ধোনির।
এ বছর থেকে চালু হয়েছে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম। অর্থাৎ, কোনও ক্রিকেটার একটি অর্ধে খেলতে পারেন। পরের অর্ধে তাঁকে বসিয়ে অন্য কাউকে খেলানো যায়। ধোনির আসল কাজ চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের সময়। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে দলকে চালান তিনি। সেটা আগামী বছরও করতে পারেন তিনি। অর্থাৎ, চেন্নাই বল করার সময় ধোনি প্রথম একাদশে খেলতে পারেন। কিন্তু যখন চেন্নাই ব্যাট করবে তখন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মে তাঁকে তুলে অন্য কাউকে খেলানো যাবে। ধোনি থাকবেন চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। সেখানে বসেই ব্যাটিং অর্ডার থেকে শুরু করে পরিকল্পনা সব করতে পারবেন ধোনি। তার জন্য তাঁর দলে থাকার প্রয়োজন নেই।
অর্থাৎ, ডাগআউটে বসেই নিজের কাজ করতে পারবেন ধোনি। তার জন্য ব্যাট করার প্রয়োজন হবে না তাঁর। বদলে কোনও দেশি বা বিদেশি ব্যাটারকে নামাতে পারবে চেন্নাই। এ বারের আইপিএলে শিবম দুবে ও অম্বাতি রায়ডুকে এই পরিকল্পনায় খেলিয়েছে চেন্নাই। আগামী বছর ধোনির ক্ষেত্রেও সেটা হতে পারে।