১ মে বিরাট এবং গম্ভীরের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। —ফাইল চিত্র
দিল্লির মাঠে দুই ক্রিকেটারের ঝামেলা। যা দেখে বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের বচসার কথা মনে পড়া স্বাভাবিক। শনিবারের ম্যাচে বিরাট থাকলেও গম্ভীর ছিলেন না। যদিও সেই ঝামেলায় বিরাট ছিলেন না। মহম্মদ সিরাজ এবং ফিল সল্ট বচসায় জড়িয়ে গেলেন।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লি ক্যাপিটালস। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৮১ রান করে আরসিবি। সেই রান তুলতে নেমে ওপেন করেন ফিল সল্ট। পঞ্চম ওভারে মহম্মদ সিরাজ এবং তাঁর মধ্যে ঝামেলা হয়। সিরাজ বেশ আক্রমণাত্মক ভাবে কিছু বলেন। আঙুল দেখান সল্টকে। দিল্লির ওপেনার শান্ত ছিলেন। তিনি পাল্টা কিছুই বলেননি। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই আম্পায়াররা চলে আসেন।
সিরাজের সেই ওভারে সল্ট দু’টি ছক্কা এবং একটি চার মারেন। লাইন, লেংথ ভুল করে বসেন সিরাজ। ওয়াইড বল করেন। সিরাজের ঘটনার পরেও মাথা ঠান্ডা রেখে সল্ট অর্ধশতরান করেন। ২৮ বলে ৫০ করেন তিনি। ম্যাচ শেষে দেখা যায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন সল্ট এবং সিরাজ।
১ মে বিরাট এবং গম্ভীরের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। লখনউয়ের কাইল মেয়ার্স কথা বলছিলেন বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় লখনউ দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। গম্ভীর চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসেন। তাঁকে আটকে দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে যান গম্ভীর। উল্টো দিক থেকে আসেন বিরাটও। তিনিও উত্তপ্ত ভাবে কথা বলতে থাকেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান। সেই ঘটনায় ম্যাচ ফি-র পুরোটাই জরিমানা হয় বিরাটের। একই শাস্তি পেতে হয় গম্ভীরকেও। বিরাট শনিবার বোর্ডকে চিঠি দিয়ে জানান যে, তিনি এমন কিছু বলেননি গম্ভীরকে যার জন্য এত বড় শাস্তি দেওয়া হল।