হার্দিক পাণ্ড্য। —ফাইল চিত্র।
ঘরে ফেরাটা সুখের হয়নি হার্দিক পাণ্ড্যের। চলতি মরসুমে বার বার সমালোচিত হয়েছে তাঁর অধিনায়কত্ব। ১৩ ম্যাচে মাত্র চারটিতে জিতেছেন তিনি। দলের মধ্যে বিভাজনের খবর বেরিয়েছে। আইপিএলের শেষ ম্যাচের আগে নিজের অধিনায়কত্বের ধরন নিয়ে মুখ খুললেন হার্দিক।
আইপিএলের একটি ভিডিয়োতে হার্দিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর অধিনায়কত্ব ফলাফলের উপর নির্ভর করে না। মুম্বইয়ের অধিনায়ক বলেন, “আমি ফলাফলের উপর নির্ভর করি না। আমি খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও তাদের প্রচেষ্টার দিকে খেয়াল রাখি। যদি আমি দেখি ওরা দলের জন্য খেলছে, তা হলে আমার কোনও সমস্যা নেই। কারণ, আমি জানি, দলের জন্য খেললে এক দিন আমরা সফল হবই।”
চলতি আইপিএলে বার বার হার্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি কারও মতামতকে গুরুত্ব দেন না। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা বা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে তাঁর আলোচনা না করে চলে যাওয়ার ছবিও বেরিয়েছে সমাজমাধ্যমে। তবে হার্দিক জানিয়েছেন, তিনি দলগত খেলায় বিশ্বাসী। হার্দিক বলেন, “আমার অধিনায়কত্বের ধরন খুবই সহজ। আমি দলের বাকি ১০ সতীর্থের সঙ্গে মিলে খেলি। মন্ত্রটা খুব সহজ। বাকিদের দিকে নজর দেওয়া, ওদের উপর ভরসা দেখানো, ওদের ভালবাসা আমার কাজ। আমি শুধু ওদের কাছে একটাই দাবি করি। মাঠে নেমে নিজের ১০০ শতাংশ দাও।”
দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি চলতি মরসুমে ব্যক্তিগত ভাবেও খারাপ খেলেছেন হার্দিক। ১৩টি ম্যাচে ২০০ রান করেছেন তিনি। গড় ১৮.১৮। স্ট্রাইক রেট ১৩৮। তাঁর সর্বাধিক রান ৪৬। অর্থাৎ, একটি অর্ধশতরানও করতে পারেননি মুম্বইয়ের অধিনায়ক। বল হাতে ১৩টি ম্যাচে ৩৪ ওভার বল করেছেন হার্দিক। নিয়েছেন ১১টি উইকেট। ওভার প্রতি ১০.৫৮ রান দিয়েছেন তিনি। হার্দিকের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের প্রভাব দলের উপর পড়েছে।
খারাপ খেলার পরেও ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়েছে হার্দিকের। শুধু জায়গা নয়, সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে তাঁকে। অধিনায়ক রোহিত নাকি হার্দিককে দলে চাননি। তার পরেও তাঁকে নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিশ্বকাপে হার্দিক কেমন খেলেন।