জয়ের হাসি রাহুলদের মুখে। ছবি: আইপিএল
রানের পাহাড় গড়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২৫৮ রানের লক্ষ্য রেখেছিল পঞ্জাব কিংসের সামনে। যা টপকানো প্রায় অসম্ভব ছিল। পঞ্জাব পারেওনি। তারা শেষ হয়ে গেল ২০১ রানে।
লখনউয়ের হয়ে শুরুটা করেছিলেন কাইল মেয়ার্স, শেষ করলেন নিকোলাস পুরান। মাঝে মোহালিতে ঝড় তুললেন মার্কাস স্টোইনিস। এই তিন ব্যাটারের সঙ্গে ছিলেন আয়ুষ বাদোনি। তাঁদের দাপটে আইপিএলে প্রথমে ব্যাট করে আইপিএলে সব থেকে বেশি রানের রেকর্ড থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থেমে গেল লখনউ। আইপিএলের ইতিহাসে লখনউ দ্বিতীয় সর্বাধিক রান তুলল তারা। তখনই ম্যাচ নিজেদের পকেটে ভরে নেয় লখনউ।
২০১৩ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন মেয়ার্সরা। সে বার ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্রিস গেল ১৭৫ রান করেছিলেন। সেই ইনিংসের দাপটেই ২৬৩ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। পুণে ওয়ারির্সের বোলারদের দিশেহারা করে দিয়েছিলেন ক্রিস গেল। শুক্রবার মেয়ার্স ২৪ বলে ৫৪ রান করেন। তিন নম্বরে নেমে আয়ুষ বাদোনি ২৪ বলে ৪৩ রান করেন। স্টোইনিস করেন ৭২ রান। পুরান অপরাজিত ১৯ বলে ৪৫ রান করেন। এই চার ব্যাটার মিলেই ২৫৭ রান তুলে দেয় মোহালির মাঠে।
পঞ্জাবের ঘরের মাঠে লখনউয়ের ব্যাটাররা ১৪টি ছক্কা মারেন। রাহুল চাহার ছাড়া পঞ্জাবের কোনও বোলার ওভার প্রতি ১০ রানের কম রান দিতে পারেননি। আরশদীপ সিংহ ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। কাগিসো রাবাডা ৪ ওভারে ৫২ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন। স্যাম কাড়েন তিন ওভারে ৩৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। একটি উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু তিনিও এক ওভার বলে করে ১৯ রান দিয়ে যান।
পঞ্জাব ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে। শিখর ধাওয়ান মাত্র এক রান করে আউট হয়ে যান। অথর্ব তাইবে ৬৬ রান করলেও দলকে জয়ের দিশা দেখাতে পারেননি। সিকান্দর রাজা ৩৬ রান করেন। লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ২৩ রান। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব। লখনউ এই ম্যাচে ন’জন বোলারকে ব্যবহার করে। এক বল বাকি থাকতেই পঞ্জাবের দশ উইকেট তুলে নেয় তারা।
লখনউয়ের পরের ম্যাচ ১ মে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। পঞ্জাবের পরের মায়চে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে। ৩০ এপ্রিল সেই ম্যাচ হবে চেন্নাইয়ে।