দু’বার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কোহলি এবং গম্ভীর। এ বার বিরাটকে নিয়ে টুইট লখনউয়ের। — ফাইল চিত্র
চলতি আইপিএলে দু’বার লখনউয়ের মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি। দু’বারই দেখা গিয়েছিল বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীরের ঝামেলা। সেই তিক্ততা ভুলে গেল লখনউ। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলির শতরানের পরে বিরাটকে নিয়ে টুইট করা হয়েছে দলের তরফে। প্রশংসা করা হয়েছে প্রাক্তন অধিনায়কের।
আইপিএলে ছ’টি শতরান করে ক্রিস গেলের নজির ছুঁয়েছেন কোহলি। তাঁর ইনিংসের জেরেই হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের দিকে এক পা বাড়িয়ে রেখেছে আরসিবি। কোহলির ইনিংসের মাঝেই লখনউ টুইট করে, “কোহলি নিজের সেরা ছন্দে রয়েছে।” লখনউ দলের খেলোয়াড়ি মনোভাবের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
১ মে লখনউয়ে খেলা ছিল আরসিবি এবং এলএসজি-র। এই দুই দল বেঙ্গালুরুতেও খেলেছিল। সে বার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করতে বলেছিলেন গম্ভীর। জয়ের পর আগ্রাসী ভাবে উল্লাস করতে থাকেন গম্ভীর। যা ছিল বেশ চোখে লাগার মতো। লখনউয়ে খেলতে এসে বিরাটও পাল্টা দিতে থাকেন। ম্যাচ শেষে উত্তেজনা আরও বাড়ে। লখনউয়ের কাইল মেয়ার্স কথা বলছিলেন বিরাটের সঙ্গে। সেই সময় লখনউ দলের মেন্টর গম্ভীর এসে মেয়ার্সকে সরিয়ে নিয়ে যান। সেখান থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। গম্ভীর চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসেন। তাঁকে আটকে দেন লোকেশ রাহুল। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে এগিয়ে যান গম্ভীর। উল্টো দিক থেকে আসেন বিরাটও। তিনিও উত্তপ্ত ভাবে কথা বলতে থাকেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই দলের বাকি ক্রিকেটাররা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
কী কথা হয়েছিল বিরাট এবং গম্ভীরের? তা-ও ফাঁস হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সে দিন কী ঝামেলার সময় কী কথা হয়েছিল কোহলি এবং গম্ভীরের। গম্ভীরই আগে কোহলির উদ্দেশে বলেন, ‘‘কী বলছিস বল।’’ জবাবে কোহলি বলেন, ‘‘আমি আপনাকে কিছু বলিইনি। আপনি কেন শুধু শুধু এর মধ্যে ঢুকছেন।’’ এর পর গম্ভীর বলেন, ‘‘তুই আমার কোনও খেলোয়াড়কে বলেছিস মানে তুই আমার পরিবারকে গালাগালি দিয়েছিস।’’ এর জবাবে কোহলি বলেন, ‘‘তা হলে আপনি আপনার পরিবারকে সামলে রাখুন।’’ কোহলির উত্তর শুনে গম্ভীর আবার বলেন, ‘‘তা হলে এখন তুই আমাকে শেখাবি?’’ এই ঘটনায় ম্যাচ ফি-র পুরোটাই জরিমানা হয় বিরাটের। একই শাস্তি পেতে হয় গম্ভীরকেও।
বৃহস্পতিবারের ইনিংসের পরে কোহলি বলেছেন, ‘‘আমি এমন এক জন ক্রিকেটার যে খুব বেশি আধুনিক শট খেলতে পছন্দ করি না। আইপিএলের পরেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তাই নিজের টেকনিক ঠিক রাখতে হবে আমাকে।’’ বিরাটের এই কথা থেকে পরিষ্কার, এ বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে কতটা বদ্ধপরিকর তিনি।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় কী মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন সে কথাও জানিয়েছে বিরাট। তিনি বলেছেন, ‘‘হায়দরাবাদ ভাল ব্যাট করেছে। কিছু বল পিচে পড়ে থমকে আসছিল। তাই আমাদের শুরুটা ভাল হওয়া দরকার ছিল। আমি প্রথম বল থেকেই মারার পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা কাজে লেগেছে।’’