রিঙ্কুর গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। —ফাইল চিত্র
একটা অকল্পনীয় ইনিংস! রবিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংহের পাঁচ ছক্কা মেরে জেতানোকে আর কিছু ভাবে ব্যাখা করা মুশকিল। ম্যাচ শেষে রিঙ্কুর গলায় যে আত্মবিশ্বাসের সুর রয়েছে তাতে আগামী দিনেও কলকাতাকে আরও এমন ম্যাচ জেতানোর আশ্বাস পাওয়া যেতেই পারে।
রবিবার আন্দ্রে রাসেলের আগে রিঙ্কুকে ব্যাট করতে পাঠানোর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছিল এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে। কিন্তু আমদাবাদে রাসেল, সুনীল নারাইন, শার্দূল ঠাকুররা যা পারলেন না, সেই কাজটাই করে গেলেন রিঙ্কু। শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। প্রথম বলে হয় ১ রান। পরের পাঁচ বলে ২৮ রান করতে হলে অন্তত চারটি ছক্কা এবং একটি চার মারতে হত। রিঙ্কু পাঁচটিই ছক্কা হাঁকালেন।
সেই ম্যাচের পর রিঙ্কু বলেন, “আমি জানতাম আমি পারব। রানা ভাই (নীতীশ) আমাকে বলেছিল নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে। সেই সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে। তার পর যা হবে দেখা যাবে। আমার মাথায় শুধু ছক্কা হাঁকানোর কথাই ছিল। উমেশ ভাই (যাদব) আমাকে বলছিল বেশি না ভাবতে। শুধু নিজের মতো খেলতে। আমি কিছু ভাবছিলাম না। শুধু যেমন বল আসছিল, তেমন খেলছিলাম। প্রতিটা বল ব্যাটের মাঝখানেই লাগল। আমি বিশ্বাস রেখেছিলাম নিজের উপর, সেটার ফল পেলাম।”
রিঙ্কুর বিশ্বাসেই জয় এল। আমদাবাদে প্রথমে ব্যাট করে ২০৪ রান তুলেছিল গুজরাত টাইটান্স। সাই সুদর্শন ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন। বল হাতে রশিদ খান হ্যাটট্রিক করে কলকাতাকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সব ম্লান করে দেন রিঙ্কু। শেষ পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু সিংহ।