ক্রিস গেলের সঙ্গে সুনীল নারাইন। ছবি সুদীপ্ত ভৌমিক
বিরাট কোহালি নিয়ে উন্মাদনার মধ্যেই কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরকে কঠিন অঙ্ক সমাধানে নামতে হচ্ছে রবিবারের ইডেনে। তা হচ্ছে— ক্রিস গেল নামক ঝড় কী ভাবে থামাব? রবিবার কালবৈশাখীর পূর্বাভাস যেমন রয়েছে তেমনই যে গেল-ঝড় ওঠারও প্রবল সম্ভাবনা।
শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির এমনই দুর্ভাগ্য যে, কেকেআর ছাড়ার পর থেকেই আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ‘ইউনিভার্স বস’। সবচেয়ে বিধ্বংসী মেজাজে তাঁকে দেখা যায় ইডেনেই। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পরেই ইডেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় শিকারের কেন্দ্র। নাইটরা তাঁর বিরুদ্ধে কী অস্ত্র প্রয়োগ করে, সেটা রবিবারের বড় আকর্ষণ।
নাইট শিবিরে দু’রকম তত্ত্ব রয়েছে। একটা অবশ্যই স্পিনার দিয়ে গেল বধের নকশা। অতীতে যে নকশা প্রয়োগ করে সাফল্য এসেছে। যেমন, গেলের স্বদেশী স্পিনার সুনীল নারাইন তাঁকে চার বার আউট করেছেন। তার মধ্যে দু’বার আইপিএলে। গেলের বিরুদ্ধে নারাইনের ইকোনমি রেটও (ওভার প্রতি রান দেওয়ার গড়) খুবই কম। কারও কারও মতে, কুলদীপ যাদব দারুণ অস্ত্র হতে পারেন গেলের জন্য। যেহেতু কুলদীপকে খুব বেশি খেলেননি তিনি। শুরুর দিকে স্পিনারদের মন্থর গতির বলের বিরুদ্ধে খুব সপ্রতিভ থাকেন না গেল, এটাই ছিল এত দিনকার বিশ্লেষণ।
আরও পড়ুন...
বিরাট প্রভাবে কেকেআর-ই যেন ‘পরবাসী’
দু’টো কারণে এ বার তা পাল্টে যাওয়ার পথে। গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে গেল বেশি নির্দয় ছিলেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ক্লিপিংস দেখেছে কেকেআর। আর এ বারে ইডেনের উইকেটও নারাইনদের স্পিনকে সহায়তা করছে না, করছে পেসারদের। পিচে কিছুটা ঘাসও রয়েছে। সেই কারণে দ্বিতীয় মত হচ্ছে, রিফ্লেক্স কমে যাওয়া ৩৭ বছরের গেল-কে এক্সপ্রেস গতি দিয়ে আক্রমণ করো। সেক্ষেত্রে নাইটদের অস্ত্র হতে পারেন নেথান কুল্টার নাইল বা উমেশ যাদব। নাইটদের তরফে নাকি আরসিবি ম্যাচের জন্য অন্তত পিচকে কিছুটা টার্নিং করা যায় কি না, সেই চেষ্টা চলছিল। সিএবি হাইকম্যান্ড বা প্রধান কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় সেটা করতে রাজি হয়েছেন বলে শনিবার রাত পর্যন্ত খবর নেই।
বেঙ্গালুরুর দলসূত্রে আবার জানা গেল, এ বি ডিভিলিয়ার্সও ফিট হয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ রবিবারের ম্যাচে থ্রি মাস্কেটিয়ার্স থাকছেন। কোহালি, গেল, এ বি। ইডেনে সর্বসেরা বিনোদনের প্রহর গোণা শুরু। আর শাহরুখের নাইটদের জন্য থাকছে অগ্নিপরীক্ষা!