KKR

শেষ ওভারে কী পরিকল্পনা করেছিলেন, জানালেন ম্যাচের সেরা বরুণ

নীতীশ রানা যে স্পিনারের হাতে বল তুলে দেবেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। একমাত্র সিভি বরুণ কম রান দিয়েছিলেন স্পিনারদের মধ্যে। তাঁর হাতেই ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব তুলে দেন কেকেআর অধিনায়ক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

উল্লাস: শেষ ওভারে নাইটদের জিতিয়ে বরুণ। অভিনন্দন গুরবাজ়ের। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে।  ছবি: পিটিআই।

শেষ ওভারে বাকি ছিল ৯ রান। এই পরিস্থিতিতে নীতীশ রানা যে স্পিনারের হাতে বল তুলে দেবেন, তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। একমাত্র সিভি বরুণ কম রান দিয়েছিলেন স্পিনারদের মধ্যে। তাঁর হাতেই ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব তুলে দেন কেকেআর অধিনায়ক।

Advertisement

বৃষ্টি পড়ার ফলে বরুণের হাত থেকে বল পিছলে যাচ্ছিল। তাই শেষ ওভারে বল বেশি ঘোরানোর চেষ্টাই তিনি করেননি। উইকেটের সোজাসুজি বল করেই যে সফল হয়েছেন, তা ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলে দিলেন বরুণ। তাঁর কথায়, ‘‘নীতীশ আমার হাতে যখন বল তুলে দেয়, হৃদস্পন্দন ২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল মনে হয়। বুঝতে পারছিলাম না কী করা উচিত।’’ যোগ করেন, ‘‘লক্ষ্য করে দেখি মাঠের একটা দিক বড়। ব্যাটসম্যান যাতে সেই দিকে শট খেলার চেষ্টা করে, সেই অনুযায়ী বল করেছি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শট খেলতে যায় সামাদ। ওর উইকেট পাওয়ার পরেই আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি।’’

এখানেই থামেননি বরুণ। বলছিলেন, ‘‘শেষ ওভারে আমি অতিরিক্ত কিছু চেষ্টাই করিনি। একেই বৃষ্টি পড়ছিল। হাত থেকে পিছলে যাচ্ছিল বল। তাই অতিরিক্ত ঘোরাতে যাইনি। সেই চেষ্টা করলেই ফুলটস পড়ত।’’ শেষ বলে বাকি ছিল ছ’রান। সেই সময় কী ভাবছিলেন? বরুণের উত্তর, ‘‘জোরের উপরে বল করতে চেয়েছিলাম। ভাগ্যিস ওরা দু’রান নেয়নি পঞ্চম বলে। সেটা করলে এত জোরে শেষ বল করতে পারতাম না। চার হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকত। কিন্তু ছ’রান বাকি থাকার ফলে আমি নিশ্চিত ছিলাম, জোরের উপর বল করলে ভুবি মারতে পারবে না।’’

Advertisement

এ দিন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছেন শার্দূল ঠাকুরও। হেনরিখ ক্লাসেনকে সেই জায়গায় না ফেরালে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব হত না নাইটদের। শার্দূল বলছিলেন, ‘‘উইকেট নেওয়ার জন্য মঞ্চ একেবারে তৈরি ছিল। জানতাম, সেই পরিস্থিতিতে উইকেট তুলতে পারলে ম্যাচ আবার ঘুরে যাবে। সেটাই হয়েছে। অধিনায়ক ভরসা করে আমার হাতে বল তুলে দিয়েছে। আমি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে ওকে দেখিয়ে দিয়েছি।’’

শেষ ওভারে বরুণের হাতে বল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে মুগ্ধ শার্দূল নিজেও। বলছিলেন, ‘‘আমার হাতে বল দিলে শেষ ওভারে ৯ রান আটকাতে পারতাম কি না সত্যি জানি না। নীতীশ আদর্শ বোলারের উপরে ভরসা রেখেছে। আমরা সকলেই জানি বরুণ কী করতে পারে। শেষ ওভারে অতিরিক্ত কিচ্ছু করতে যায়নি। একদম জোরের উপরে উইকেটের সোজাসুজি বল রেখেছে। চাপের মুহূর্তে এই রকম একটা ওভার করা সত্যি কঠিন।’’

কেকেআরের পরের ম্যাচ ৮ মে। প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement