বিষণ্ণ: ইডেনে আরও এক হার। হতাশ নারাইন। — নিজস্ব চিত্র।
শেষ দু’ওভারে পঞ্জাব কিংসের জিততে তখন বাকি মাত্র ৯ রান, ইডেনের হসপিটালিটি বক্স থেকে নেমে গাড়িতে উঠে পড়লেন শাহরুখ খান। চলতি মরসুমে এই প্রথম মাঠে যেতে দেখা গেল না তাঁকে। ঘরের মাঠে তাঁর দলের আত্মসমর্পণ হয়তো মেনে নিতে পারেননি। চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। ইডেনের দর্শকেরা যদিও বাদশাকে এক বার সামনে থেকে দেখার অপেক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু তাঁকে আর দেখা গেল না।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শতরান করে রাজস্থান রয়্যালসকে জেতানোর দিনও মাঠে এসে সকলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু এ দিন ম্যাচ শেষে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেও দেখা যায়নি তাঁকে। শেষ কবে বাদশাকে এতটা হতাশ হতে দেখা গিয়েছে, মনে করতে পারছেন না তাঁর ভক্তেরাই।
বোলিং বিভাগের এই কঙ্কালসার অবস্থা দেখতে হবে, হয়তো আশা করেননি মেন্টর গৌতম গম্ভীরও। আঙুলে চোটের কারণে খেলানো যায়নি মিচেল স্টার্ককে। তাঁর পরিবর্তে দলে আসা দুষ্মন্ত চামিরা তিন ওভারে দেন ৪৮ রান। কেকেআরের ফিল্ডিং কোচ রায়ান টেন দুসখাতে সাংবাদিক বৈঠকে এসে জানিয়ে গেলেন, বোলারদের কোন জায়গায় বল করতে বলবেন, বুঝতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনও দিনও বোলারদের কথা ভেবে কিছু করা হয়নি। পরিস্থিতি এখন আরও পাল্টে গিয়েছে। কোন জায়গায় বল ফেলে ব্যাটসম্যানকে অস্বস্তিতে রাখা যায়, বোঝা যাচ্ছে না। তবে ২৬১ রান করার পরে বিপক্ষকে আটকে দেওয়া উচিত ছিল।’’
দুসখাতে জানিয়ে গেলেন, স্টার্ক সুস্থ হওয়ারই মুখে। তাঁর কথায়, ‘‘যে আঙুল দিয়ে বল ছাড়ে, সেখানেই চোট পেয়েছে। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ। আগামী ম্যাচে ফিরে আসার
সম্ভাবনাই বেশি।’’
সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে বড় পরীক্ষা কেকেআরের। প্রাক্তন নাইট অধিনায়কের দলের বিরুদ্ধে কেকেআর ঘুরে দাঁড়াতে পারে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।