প্লে-অফে ওঠা চারটে টিম নিয়ে প্রথমেই একটা কথা বলে দিই। সেরা চারটে টিমই কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে আছে।
যে দু’টো দল গত বার ঝড় তুলেছিল, সেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং গুজরাত লায়ন্স এ বার আগেই ছিটকে গেল। এ বছরটা সত্যিই ওদের খারাপ কাটল। শুরু থেকেই ওরা ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
গত বারের চ্যাম্পিয়ন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারে আরসিবি-র সঙ্গে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ওই একটা পয়েন্ট পাওয়ার জন্য। সানরাইজার্স টিমটাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নার। ও যখন খেলছে, একাই দলকে জিতিয়ে দিচ্ছে। ওদের দলে অভিজ্ঞ আর তরুণ প্রতিভার মিশ্রণটা বেশ ভাল। এক দিকে যুবরাজ সিংহ, শিখর ধবন, কেন্ উইলিয়ামসনের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা আছে। অন্য দিকে তরুণ বিজয় শঙ্করের মতো ক্রিকেটার।
হায়দরাবাদের বোলিংয়ের ভারসাম্যটাও ভাল। ভুবনেশ্বর, আশিস নেহরার সঙ্গে আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান আছে, তরুণ ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ আছে। ওদের শুধু ঠিক কম্বিনেশনটাকে বেছে নিতে হবে।
সানরাইজার্স বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচটা আদতে নকআউট ম্যাচ। দু’টো টিমই কিন্তু সমান শক্তিশালী। দু’টো টিমই রান তাড়া করতে ভালবাসে।
আরও পড়ুন: নাইটদের জন্য মন্থর বাইশ গজ
টস জিতে ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভুল মানে এ বারের মতো আপনার আইপিএল শেষ। আমি এখনও বলব, গৌতম গম্ভীর ওপেন করুক এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা নিজের হাতে নিক।
কলকাতা-হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট লড়াই। এই ম্যাচে হারা টিম অবশ্য আর একটা সুযোগ পাবে। শুরুতে যা ছিল, তার চেয়ে এই পুণে টিমটা কিন্তু অনেক উন্নতি করেছে। স্টিভ স্মিথ, অজিঙ্ক রাহানে, রাহুল ত্রিপাঠী, মনোজ তিওয়ারি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি মিলে পুণের ব্যাটিং কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু বেন স্টোকস না থাকায় যে শূন্যতাটা হবে, সেটা স্মিথ কী ভাবে সামলায়, সেটাই দেখার।
পুণেকে এমন একটা টিমের বিরুদ্ধে খেলতে হবে যারা দিন দু’য়েক আগে পাঁচ জন নতুন ক্রিকেটার নিয়ে কলকাতাকে হারিয়ে দিয়ে এসেছে। মুম্বই খুব ভাল ফর্মে আছে। লিগ টেবলে এক নম্বরে থাকার ওরাই যোগ্য দল।
বোলিংয়ে বৈচিত্র, ব্যাটিংয়ে গভীরতা, বিগ হিট নেওয়ার ক্ষমতা— সব কিছু আছে মুম্বইয়ের। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ওদেরও খারাপ দিন আসতে পারে।